কোলেস্টেরল বেড়ে গেছে বুঝবেন কীভাবে?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:২৯ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০১:৩০ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০২১ বুধবার
মোমের মতো এক ধরনের ফ্যাটি পদার্থ হচ্ছে কোলেস্টেরল। স্বাভাবিক অবস্থায় শরীরের জন্য উপকারী এই পদার্থটি প্রয়োজনের তুলনায় বেড়ে গেলেই দেখা দেয় অসঙ্গতি। তাই নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর নজর রাখা প্রয়োজন। কিন্তু তার তো জানতে হবে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে।
জেনে নিই, কোলেস্টরলের কয়েকটি প্রাথমিক উপসর্গ
ঘুমের মধ্যে পায়ের পাতায় বা আঙুলে হঠাৎ টান ধরা উচ্চ কোলেস্টেরলের ইঙ্গিত হতে পারে। রাতে এই ধরনের সমস্যা বেশি হয়। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে, রাতে এমন সমস্যা হচ্ছে কিনা।
কোলেস্টেরল খুব বেড়ে গেলে প্রভাব পড়ে পায়ের টেন্ডন লিগামেন্টগুলিতে। এসময় ফ্যাটের কারণে ধমনীগুলি সরু হয়ে যায় এবং পায়ের নীচের অংশে রক্ত পৌঁছাতে সমস্যা হয়। এতে পা ভারী হয়ে যায় এবং একটু হাঁটলেই প্রচন্ড ব্যথা হয়।
রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হলে পায়ের আঙুলের রঙেও বদল আসতে পারে। বদল আসতে পারে পায়ের নখেরও ।
সমস্যার বিষয় হচ্ছে কোলেস্টেরলের মাত্রা যতক্ষণ না মারাত্মক বেড়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ শরীরে কোনও বড় লক্ষণ দেখা যায় না। তাই এই লক্ষণগুলি দেখা দিতেই সাবধান হতে হবে।
এছাড়া মাঝেমধ্যে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর নজর রাখা প্রয়োজন।
তাই রোজকার খাদ্যতালিকায় অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ কমিয়ে শরীরচর্চার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
কোলেস্টেরল তৈরি হয় যকৃত থেকে। লাইপোপ্রোটিনের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে পড়ে এই পদার্থটি। স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে কোলেস্টেরল।
কিন্তু শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে এবং ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গেলে, তা কোলেস্টেরলের সঙ্গে মিশে ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ বা এলডিএল হয়ে যায়। তখনই কোলেস্টেরল শরীরের পক্ষে খুব ক্ষতিকর হয়ে যায়।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
এমএম/এসবি