অবশেষে নিহত কৃষকদের পরিবারের পাশে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪৬ এএম, ৭ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৫৫ এএম, ৭ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার
কয়েকদিন ধরেই চলছে নাটক। কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী চাইছিলেন লখিমপুরে নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু কোনভাবেই অনুমতি দিচ্ছিল না উত্তরপ্রদেশ সরকার। উল্টো হয়রানি ও গ্রেফতারের মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। অবশেষে সব নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে বুধবার রাতে লখিমপুরে মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা।
বুধবার সন্ধ্যায় তারা নিহত কৃষক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সঙ্গে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দেন কংগ্রেস নেতারা। দিনভর নানান টানাপোড়েনের পর শেষপর্যন্ত লখিমপুর খিরিতে যাওয়ার অনুমতি দেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার।
রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চান্নি, কে সি বেণুগোপাল, রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং দিপেন্দর হুডা। প্রায় ৩০ ঘণ্টা আটকে রাখার পর বুধবার ছাড়া পান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এরপর রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ মোট পাঁচ জন কংগ্রেস নেতাকে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দেয় যোগী প্রশাসন।
দুই ভাইবোন প্রথমে গিয়েছিলেন পালিয়া, যেখানে তারা লাভপ্রীত সিংয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার শেয়ার করা একটি ছবিতে গান্ধী ভাই-বোনের পালিয়া তেহসিলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। নিহত কৃষকের বাবা-মাকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে জড়িয়েও ধরেন তারা।
সেখান থেকে রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা নিগাসন তহসিলের উদ্দেশে রওনা হন। সাংবাদিক রমন কাশ্যপের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করেন। যিনি লখিমপুর কাণ্ডে নিহত হন। রমনের বাড়ি থেকে ধৌরাহা তেহসিলে নাচাতার সিংয়ের বাড়িতে যান রাহুল-প্রিয়াঙ্কা।
এদিকে, কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট এবং আচার্য প্রমোদ যখন লখিমপুর খিরিতে যাচ্ছিলেন তখন মুরাদাবাদে ইউপি পুলিশ তাদের আটক করে।
অন্যদিকে, কৃষক নিহতের ঘটনায় ৭২ ঘণ্টা পরেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে লখিমপুর খিরির ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
সূত্র : জি২৪
এসএ/