ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বারোমাসী তরমুজ চাষে স্বাবলম্বী কৃষক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার

অসময়ে তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন তিন জেলার বেশ কয়েকজন কৃষক। কম খরচে অধিক ফলন এবং দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হয়েছেন তারা। এমন সফলতায় তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেক কৃষক। আর চাষীদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়ার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের আদমপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিন। পাত্রখোলা চা বাগানের প্রায় দুই বিঘা জমিতে প্রথমবারের মতো উচ্চ ফলনশীল তিন জাতের তরমুজ চাষ করেন তিনি। এখন মৌসুম না হলেও তার জমিজুড়ে শোভা পাচ্ছে হলুদ, কালো ও সবুজ ডোরাকাটা তরমুজ।

তরমুজের ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় বেশ লাভবান এই কৃষক।

আব্দুল মতিন জানান, তরমুজের তিন জাত ব্ল্যাক বেরি, মধুমালা এবং বাংলালিংক জাতের। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। আর ফলন দেখে আমরা সবাই খুশি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুরের শাহীন আলম। করোনাকালে অলস বসে না থেকে বাড়ির পাশে চাষ করেন ব্ল্যাক বেরি ও গোল্ডেন ক্রাউন নামে দুটি বিদেশি জাতের তরমুজ। অল্প সময়ে তার লাভ দেখে এলাকার অনেক কৃষক ও ছাত্র এখন তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তাদের উৎসাহ ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

শাহীন আলম জানান, এখানে প্রায় ৩৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এটা পরীক্ষামূলকভাবে ২৫ শতাংশ জমিতে করা হয়েছে।

হরিপুরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, প্রতিটি গাছে যদি দুটি করে তরমুজ থাকে তাহলে প্রায় লক্ষাধিক টাকা পাবে।

গবেষণায় সফলতার পর এবার মাঠ পর্যায়ে বাম্পার ফলন হয়েছে নতুন উদ্ভাবিত বারি-১ ও ২ জাতের তরমুজের। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে বারোমাসী এ তরমুজ চাষে স্বাবলম্বী পটুয়াখালী কলাপাড়ার তিন কৃষক।

কৃষকরা জানান, এই তরমুজ আমরা এ পর্যন্ত তিনবার বিক্রি করেছি। এতে আমাদের যা খরচ হয়েছে তার চেয়ে দ্বিগুণ লাভ হয়েছে। তবে এখন যে পরিমাণ চাহিদা সে পরিমাণ দিতে পারছি না, জানালেন আরেক কৃষক। 

২০১৫ সালে গবেষণা শুরু করে পাঁচ বছর পর দেশীয় এই নতুন জাত উদ্ভাবনে সফল হন কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউটের পটুয়াখালীর লেবুখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকরা।

গবেষকরা জানান, বর্ষার সময়ে যাতে ক্ষেতে পানি না উঠে। এর ব্যবস্থা নিলে বছরে সে তিনবার সংগ্রহ করতে পারবে।

ভিডিও-

এএইচ/