সেশনজট এড়াতে হাবিপ্রবিতে ৪ মাসে সেমিস্টার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২১ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০২১ শুক্রবার
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘস্থায়ী সেশনজট নিরসনের উপায় হিসেবে ও শিক্ষার্থীদের করোনাকালীন অ্যাকাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সেমিস্টার ৬ মাস থেকে কমিয়ে ৪ মাসে সম্পন্ন এবং ৫০ মিনিটের ক্লাস ২০ মিনিট বাড়িয়ে ৭০ মিনিট করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৮তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এর সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষসহ অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যগণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, এমন শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানাই মাননীয় উপাচার্য স্যারকে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই স্যার শিক্ষার্থী বান্ধব উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। করোনাকালীন জট এড়াতে ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসের মধ্যে নিয়ে আসা ও তার পাশাপাশি প্রতি ৫০ মিনিটের ক্লাস এর সময়সীমা বাড়িয়ে ৭০ মিনিট করা সুন্দর ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিকল্পনার অংশ। ভবিষ্যতেও উপাচার্য মহোদয় একরকম শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগ নিয়ে হাবিপ্রবিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন আশা করি।
অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সভায় অন্যান্য সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখা জানায়, অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষা চলমান থাকবে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০ ও ২০১৯ সালে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী এবং তাদের সাথে রি অ্যাড হওয়া শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস পরীক্ষা চালু থাকবে। তাদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে পরবর্তী অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সম্পন্ন করে অফলাইনে পরীক্ষা ও ক্লাস শুরুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এছাড়া সকল মাস্টার্স এবং এমবিএ ও অনার্সের লেভেল ৪ (২০১৭ সালে ভর্তিকৃত ও তাদের সাথে রি অ্যাড) এবং লেভেল ৩ (২০১৮ সালে ভর্তিকৃত ও তাদের সাথে রি অ্যাড) শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল, ব্যবহারিক ক্লাস (যেগুলো হাতে কলমে প্রদর্শন প্রয়োজন) ও মিডটার্ম পরীক্ষা (আলোচনা সাপেক্ষে অনলাইন বা অফলাইনে) সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সকল তত্ত্বীয় ক্লাস, ব্যবহারিক ক্লাস (যেগুলো হাতে কলমে প্রদর্শনের প্রয়োজন নেই) ও কুইজ পরীক্ষা যথারীতি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও প্রথমে মাস্টার্স অথবা এমবিএ ও লেভেল ৪ (২০১৭ সালে ভর্তিকৃত ও তাদের সাথে রি অ্যাড) এবং লেভেল ৩ (২০১৮ সালে ভর্তিকৃত ও তাদের সাথে রি অ্যাড) এর শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়া হবে।
এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সম্পন্ন করে পরবর্তী ব্যাচসমূহকে পর্যায়ক্রমে হলে উঠানো হবে। হলে উঠতে হলে সংশ্লিষ্ট হলের প্রকৃত আবাসিক শিক্ষার্থী হতে হবে। হলে প্রবেশের সময় হল কর্তৃক ইস্যুকৃত 'রেসিডেন্সিয়াল আইডি কার্ড' প্রদর্শন করতে হবে। কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন কার্ড (কমপক্ষে ১ ডোজ নেয়ার) প্রদর্শন করতে হবে। ১৮, ১৯, ২০ অক্টোবর পর্যায়ক্রমে হলগুলো খুলে দেওয়া ও ২১ অক্টোবর থেকে সশরীরে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কেআই//