ঢাকা, সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৭ ১৪৩১

মাদক মামলায় দুই আসামির প্রবেশনে মুক্তি

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৪৭ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২১ সোমবার | আপডেট: ১১:৪৯ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২১ সোমবার

যশোরে মদ ও ফেনসিডিল সংক্রান্ত পৃথক দুই মাদক মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত দুই আসামিকে কারাদণ্ডের পরিবর্তে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশনে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর লতিফা ইয়াসমিন।

রোববার যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস ব্যতিক্রমধর্মী এই রায় প্রদান করেন।

প্রবেশনে মুক্তি পাওয়া আসামিরা হলেন, যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার দক্ষিণ বারোপোতার আশরাফ আলী মোড়লের ছেলে মো. কামরুজ্জামান ও শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মক্কেল মোল্যার মেয়ে জায়েদা খাতুন কুটি।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২ আগস্ট বিকেল সোয়া ৪টার দিকে শার্শা থানার এসআই মিজানুর রহমান উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালান। এ সময় ২৫ বোতল ভারতীয় মদসহ কামরুজ্জামানকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২২(গ) ধারায় শার্শা থানায় একটি মামলা হয়। 

এই মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামি কামরুজ্জামান দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সংশোধনের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে তাকে কারাদণ্ডের পরিবর্তে প্রবেশন আইনে ৮ শর্তে ২ বছরের জন্য মুক্তির আদেশ দেন আদালতের বিচারক।

এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য শর্ত হলো, দোষী সাব্যস্ত আসামিকে প্রবেশনকালীন সময়ে তার উপার্জিত অর্থ হতে বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায় নিজ পছন্দ মতো যে কোনো এতিমখানার বাসিন্দাদের প্রতি মাসে একবার সামর্থ অনুযায়ী একবেলা বিশুদ্ধ খাবার পরিবেশন করতে হবে।

অপর আসামি জায়েদা খাতুন কুটিকে ২০০৯ সালের ৩ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শার্শা উপজেলার বটতলা কাশিপুর থেকে ১৬ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেন গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মোমরেজ আলী। এ ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫বি(বি) ধারায় শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন আসামি জায়েদা খাতুন কুটি।

রোববার মামলার রায়ে আদালত তাকে কারাদণ্ডের পরিবর্তে পুনর্বাসনের জন্য ৮ শর্তে প্রবেশনে মুক্তির আদেশ দেন। শর্ত হলো, দোষী সাব্যস্ত আসামি কাশিপুরে বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ শেখের স্মৃতিসৌধে ঝাড়ুদার পদে কর্মরত থাকায় প্রবেশনকালীন সময়ে তাকে প্রতি সপ্তাহে ওই স্থানে আগত দর্শনার্থীদের বিভিন্ন প্রকার সেবা যেমন তৃষ্ণার্ত দর্শনার্থীকে পানি পান করানো, দর্শনার্থীদের সাথে থাকা শিশুদের জন্য সময় দেয়া ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। 

এএইচ/