প্রয়োজন ফুরালেও বেঁচে আছে লাঠিখেলা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:১৮ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২১ সোমবার | আপডেট: ১২:১৯ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২১ সোমবার
ব্রিটিশ শাসনামলে অবিভক্ত বাংলার জমিদাররা শক্র দমনেই মূলত লাঠিয়াল পুষতেন। জমিদারি প্রথা এখন নেই, তাই প্রয়োজন ফুরিয়েছে লাঠিয়ালদের। তবু বংশধররা পরম্পরায় বাঁচিয়ে রেখেছেন লাঠিখেলা। ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, ও সিরাজগঞ্জে লাঠিখেলার আয়োজন বেশি হয়ে থাকে।
সভ্যতার শুরুতেই বাঁশের লাঠি হাতে তুলে নিয়েছিল মানুষ। কখনো প্রতিপক্ষকে আঘাত করতে, কখনোবা হিংস্র প্রাণীকে প্রতিরোধ করতে লাঠি চালানোর নানা কৌশল আবিষ্কার করে তারা।
কালক্রমে সেই বাঁশের লাঠি চালানো থেকেই ‘লাঠিয়াল’ নামে নতুন পেশার সৃষ্টি।
লাঠিখেলায় সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ জন অংশ নেন। দলে থাকেন একজন নেতা, যাকে ওস্তাদ ডাকা হয়। কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে এ খেলা বেশি হয়।
খেলোয়াড়েরা জানান, ছোটকাল থেকে করে আসছি, খেলা দেখে মানুষ আনন্দ পায় নিজেও আনন্দ পাই। আরও যতদিন বেঁচে থাকি খেলা করবো, মানুষকে আনন্দ দিব। সরকার যদি এর পেছনে আরেকটু সহযোগিতা করে তাহলে এর মধ্যদিয়ে আমাদের সমাজকে মাদকমুক্ত রাখা যাবে।
বৈশালী, পাশের বাড়ি, মৃত্যু বাড়ি, শেয়াল ধরা ইত্যাদি নানা নামে নানান ধরনের খেলা দেখান লাঠিয়ালেরা।
লাঠিখেলার আসরে থাকে বাদ্যযন্ত্রের ঝংকারও। ঢোল, কর্নেট, ঝুমঝুমি, কাড়ার মূর্ছনায় জমে ওঠে খেলা।
করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল লাঠিখেলার আয়োজন। অনেকদিন পর হারানো এই ঐতিহ্যের খেলা দেখতে পেরে খুশি দর্শকরা।
ভিডিও-
এএইচ/