আফগানিস্তানে ত্রাণ পাঠাতে রাজি হলো যুক্তরাষ্ট্র
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:০২ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২১ সোমবার
কাবুলে রুটির দোকানের সামনে রুটির অপেক্ষায় তিন আফগান নারী।
তালেবান শাসকরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানকে মানবিক ত্রাণ দিতে রাজি হয়েছে। অগাস্ট মাসে মার্কিন সৈন্যরা আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর রোববার কাতারে এই প্রথমবারের মত দু-পক্ষের যে সরাসরি বৈঠক হয় - তা শেষ হবার পর এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
ত্রাণ ছাড়াও এই আলোচনায় নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত উদ্বেগ, চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা এবং মার্কিন নাগরিকসহ বিদেশিদের আফগানিস্তান থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গেও কথা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মানবিক সহায়তা যাদের প্রাপ্য তাদের কাছে স্বচ্ছতার সাথে পৌঁছে দেয়ার কাজে দাতব্য সংগঠনগুলোর সাথে তালেবান সহযোগিতা করবে। এ ছাড়াও তারা বিদেশি নাগরিকদের চলাচলের সুবিধা নিশ্চিত করবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো ত্রাণের ওপর তালেবানের কর্তৃত্বকে নিশ্চিত করেনি।
মার্কিন কর্মকর্তারা এই আলোচনাকে খোলামেলা এবং পেশাদারিত্ব-সম্পন্ন বলে বর্ণনা করেছেন, তবে তারা এর সাথে যোগ করেন যে - তালেবানকে তাদের কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতেই মূল্যায়ন করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র জোর দিয়ে বলেছে যে এই বৈঠকের অর্থ তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়া নয়। মার্কিন মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, আফগান জনগণের কাছে সরাসরি জোরদার মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
এমন এক সময় যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের মধ্যে এ আলোচনা হলো যখন আফগানিস্তান এক গুরুতর মানবিক সংকটের সম্মুখীন বলে ত্রাণকর্মীরা মনে করছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে জেনেভায় এক সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দেন যে আফগানিস্তানে সরকারি সেবা ভেঙে পড়ার মুখে, এবং দারিদ্র্য হারও ব্যাপকভাবে বাড়ছে।
বিশ্বব্যাংকের হিসেব মতে আফগানিস্তানের মোট জাতীয় উৎপাদনের প্রায় ৪০ শতাংশই আসে বিদেশি সাহায্য থেকে। বিবিসির সংবাদদাতা জেরেমি বোওয়েন সম্প্রতি কাবুল থেকে পাঠানো এক রিপোর্টে বলেছেন, কাবুল শহরে দরিদ্ররা এখন তাদের যেন অনাহারে মৃত্যু না হয় - সেই চেষ্টা করছে।
আফগানিস্তানে এখন প্রায়ই ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান বা আইএসকে-র যে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে - তা মোকাবিলার জন্য ওয়াশিংটনের সাথে কোন সহযোগিতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে তালেবান।
কাতারে তালেবানের মুখপাত্র সুহায়েল শাহীন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, তারা নিজেরাই আইএসকে-র হুমকি মোকাবিলা করতে সক্ষম।
গত শুক্রবার উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ শহরে একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় আইএসকে - যাতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়। মার্কিন সৈন্যরা আফগানিস্তান ছেড়ে যাবার পর এটিই ছিল সবচেয়ে মারাত্মক হামলা।
সাঈদ আবাদ নামে মসজিদটি শিয়া মুসলিমরা ব্যবহার করতেন। ওই বোমা হামলায় ১০০-রও বেশি লোক আহত হয়। সূত্র: বিবিসি
এসি