এবারের আসরে আছেন প্রথম আসরের ছয় খেলোয়াড়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০৪:৫৯ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২১ বুধবার
দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। এবারের আসরে অংশ গ্রহনকারী ১৬ টি দেশ ইতোমধ্যেই চুড়ান্ত দল ঘোষনা করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি হতে পারে সর্বকালের সেরা বিনোদনমূলক আসর।
আসন্ন মেগা ইভেন্টের জন্য সবগুলো দলেই বেশ কিছু নতুন মুখের সাথে কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে।
উদ্বোধনী আসরের পর এবারের টুর্নামেন্টেও অংশ নিতে যাওয়া খেলোয়াড়ের তালিকাটা খুব দীর্ঘ হবে না। এশিয়া অঞ্চলের মাত্র ছয় জন ক্রিকেটার আছেন যারা ২০০৭ সালে টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে এবং এবারের বিশ্বকাপেও অংশ নিচ্ছেন। এশিয়ার ছয় ক্রিকেটারের মধ্যে তিন জনই বাংলাদেশের। বাকি দু’জন পাকিস্তানের এবং এক জন ভারতের।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (বাংলাদেশ) : ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে দু’টি ম্যাচ খেলেছিলেন বাংলাদেশের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৮ দশমিক ৫ গড়ে ১৭ রান করেছিলেন তিনি। বল হাতে ৫ দশমিক ৮৭ গড়ে মাত্র ১ উইকেট নেন তিনি।
আসন্ন আসরে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন মাহমুদুল্লাহ। অধিনায়ক হিসেবে এবার কেমন পারফরমেন্স করেন সেটিই দেখার বিষয়।
সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ) : এই তালিকায় স্থান পাওয়া আরেক বাংলাদেশি সাকিব আল হাসান। প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশের হয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে ৬৭ রান করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। সর্বোচ্চ রান ১৯।
প্রথম আসরে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিব। ক্রিকেটপ্রেমিদের আশা, এবারের আসরে নিজেদের সেরাটা উজার করে দিবেন সাকিব।
মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ) : ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবগুলো ম্যাচই খেলেছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ৭৭ দশমিক ৭৭ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ১৪ রান করেন তিনি। উইকেটের পেছনে চারটি ক্যাচ ও তিনটি স্টাম্পিং করেন মুশফিক। আসন্ন আসরে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠার অপেক্ষায় মুশফিক।
রোহিত শর্মা (ভারত) : ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়েই সংক্ষিপ্ত ভার্সনে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ভারতের রোহিত শর্মার। আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটার রোহিত।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিতের টি-টোয়েন্টি অভিষেকের কথা অনেক ভক্তেরই মনে আছে। ভারতের সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা ছিলো তার। তিন ইনিংসে ১টি হাফ সেঞ্চুরিতে ৮৮ রান করেন তিনি। তিন ইনিংসেই অপরাজিত ছিলেন রোহিত।
মোহাম্মদ হাফিজ (পাকিস্তান) : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ছয় ম্যাচ খেলেছিলেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। ব্যাট হাতে ১৬ দশমিক ৫০ গড়ে ৯৯ রান করেন তিনি।
গত কয়েক বছর ধরে এই ফরম্যাটে দারুণ ক্রিকেট খেলছেন হাফিজ। এ বছর দেশের হয়ে কেমন পারফর্ম সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে সকলের।
শোয়েব মালিক (পাকিস্তান) : নাটকীয়ভাবে শেষ মুর্হূতে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে সুযোগ পেয়েছেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক। ইনজুরির কারনে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েন অলরাউন্ডার শোয়েব মাকসুদ। তার পরিবর্তে দলে সুযোগ হয় মালিকের।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন মালিক। তার নেতৃত্বে রানার্স-আপ হয়েছিলো পাকিস্তান। ঐ আসরে ১৯৫ রান ও ২ উইকেট নেন তিনি।
এসি