ফেসবুকের নিষিদ্ধ তালিকায় বাংলাদেশের সাত সংগঠন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:২৪ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত এবং নিষিদ্ধ করা সংগঠনের তালিকায় এসেছে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট সাত নাম।
চার হাজারের বেশি ব্যক্তি এবং দলকে অন্তর্ভুক্ত করে দীর্ঘদিন যাবত এই কালোতালিকা তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু তালিকা গোপন রাখা হয় দাবি করে সবার জন্য এবার তা উন্মুক্ত করলো অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এই তালিকায় আছে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী, সশস্ত্র সামাজিক আন্দোলন এবং কথিত সন্ত্রাসীদের নাম। এই তালিকার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি, সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট কোনকিছুই ফেইসবুকে প্রকাশের অনুমতি নেই।
তবে প্রতিষ্ঠানটির প্রান্তিক গোষ্ঠীর উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার বিষয়টি স্পষ্টতই উঠে এসেছে। দেখা যায়, তালিকার অর্ধেকের বেশি নামই প্রধানত মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশীয় এবং মুসলিম সন্ত্রাসীদের।
ইংরেজি বর্ণানুক্রম অনুসরণ করে তৈরি করা এ তালিকায় প্রথমেই আছে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট আল মুরসালাত মিডিয়া, যা ইসলামিক স্টেটের মিডিয়া উইং। এদের কাজের বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া।
আল কায়েদার কেন্দ্রীয় কমান্ডের অঙ্গসংগঠন হিসেবে তালিকাভূক্ত আছে আনসারুল্লাহ বাংলা। একই শীর্ষ সংগঠনের অধীনে রয়েছে হারকাত উল জিহাদ-ই-ইসলামী ও জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ।
ইসলামিক স্টেটের অধীনে বাংলাদেশে কাজ করছে ইসলামিক স্টেট বাংলাদেশ। মিডিয়া উইংয়ের অংশ হিসেবে ইসলামিক স্টেটের অধীনে আল মুরসালাত মিডিয়া ছাড়াও বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে বিস্তৃত রয়েছে শাহাম আল হিন্দ মিডিয়া।
এর বাইরে তরিকুল ইসলাম নামে আরো একটি নাম রয়েছে যার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের সঙ্গে। বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট সাতটি নামই সন্ত্রাসবাদের তালিকায় সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফেসবুকের কোনো কনটেন্টে কোন ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হবে তা নির্ধারণ করতে ফেসবুক তিন ধাপের একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। নির্দিষ্ট পদ্ধতিতেই প্রতিষ্ঠানটি ঠিক করে, কোনো বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে ফেসবুক কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করবে।
এদিকে, সন্ত্রাস দমন ও বিপজ্জনক সংগঠনের জন্য ফেসবুকের নীতিমালা বিষয়ক পরিচালক ব্রায়ান ফিশম্যান একাধিক টুইটে তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয় বলে দাবী করেছেন। তালিকাটি ক্রমাগত পরিবর্তিত হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র: দ্য ইন্টারসেপ্ট
এমএম//এসি