দালালের আখড়া বিআরটিএ’র আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৫৪ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২১ শুক্রবার
সেবা গ্রহিতাদের ভীড় বাড়ছে বিআরটিএ’র আঞ্চলিক কার্যারয়গুলোতে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভোগান্তিও। দালালদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। প্রতিটি সেবার বিপরীতে ঘুষ নেয়ার অভিযোগও তাদের। যদিও অনিয়মের অভিযোগ মানতে নারাজ বিআরটিএ কর্মকর্তারা।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আবারো মিলছে প্রায় সব ধরনের সেবা। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায় রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও জামালপুরের বিআরটিএ অফিসগুলোতে স্বস্তিতে নেই সেবাপ্রার্থীরা। ধরতে হচ্ছে দালাল। গুণতে হচ্ছে নির্দিষ্ট ফি’র কয়েকগুণ অর্থ।
রাজশাহী বিআরটিএ অফিসেই শুধু ২০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য। আবেদনকারিদের অভিযোগ, দালাল আর ঘুষ ছাড়া মিলছে না কোনো সেবা। তবে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কর্মকর্তারা। দ্রুত সময়ে আবেদনের জট কমার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘদিন বন্ধের কারণে যে জট তৈরী হয়েছে এটা হয়তো দুই এক সপ্তাহের মধ্যেই কেটে যাবে।’
সিলেট বিআরটিএ অফিসের অবস্থাও প্রায় একই রকম। দালাল ধরলেই সব হয়ে যায় খুব সহজে। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি সেখানকার কর্মকর্তারা।
এদিকে রংপুর বিআরটিএ অফিসে নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স, নাম্বার প্লেট ও ফিটনেসের কাগজ পেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে জানান সাধারণ মানুষ। কাগজ নবায়নেও বাড়তি অর্থ গুণতে হচ্ছে বলে অভিযোগ সেবা গ্রহীতাদের।
তবুও রংপুর বিআরটিএ অফিসে কোনো দালাল নেই বলে দাবী করেন এখানকার কর্মকর্তারা। তবে ভোগান্তির কথা স্বীকার করে জানান, দালাল বলতে কোন কিছু নেই বিআরটিএতে। একটা দালালকেও খুজে পাওয়া যাবেনা বলে চ্যালেঞ্জ করেন তারা।
অপরদিকে দালাল পোষার অভিযোগ ময়মনসিংহ বিআরটিএ অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারির বিরুদ্ধেও। প্রায় ২৫ হাজার লাইসেন্সধারী চালক স্মার্টকার্ডের আবেদন করে ঘুরছেন দিনের পর দিন।
এমন অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বিআরটিএ’র এক কর্মকর্তা। বলেন, “যদি বিআরটিএ’র ভেতরে কেউ হয়রানির শিকার হন আর তা আমার নজরে আসলে কঠিন পদক্ষেপ নেব।”
জামালপুরের অবস্থা আরো ভয়াবহ। ১৬শ’ আশি টাকার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে গুণতে হচ্ছে আট থেকে দশ হাজার টাকা। দালাল আর কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
তবে সব জায়গার মত অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি এখানেও অস্বীকার করেছেন কর্মকর্তারা।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে :
এমএম/ এসএ/