আফগানিস্তানে সামরিক প্রস্তুতির আহ্বান পুতিনের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৩৫ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২১ শুক্রবার
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তালেবান ক্ষমতায় আসার পর ইরাক ও সিরিয়া থেকে সন্ত্রাসী দায়েশ বা আইএস জঙ্গিরা আফগানিস্তানে প্রবেশ করছে। দেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
পুতিন বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক ও সিরিয়া থেকে সন্ত্রাসীরা ‘সক্রিয়ভাবে’ আফগানিস্তানে ঢুকছে। তাই আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি মোটেই স্বাভাবিক অবস্থানে নেই। এমনকি এসব উগ্র এইএস জঙ্গিরা প্রতিবেশী দেশগুলোর পরিস্থিতিও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
আফগান পরিস্থিতির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে পুতিন আরো বলেন, এসব সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তান থেকে প্রতিবেশীদের ওপর সরাসরি হামলাও চালাতে পারে। আফগানিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক বিশৃঙ্খল অবস্থার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসীরা প্রতিবেশী দেশগুলোয় শরণার্থী সেজে ঢুকতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এ কারণে তিনি আফগানিস্তানের সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো এবং সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন। একইসঙ্গে সম্মিলিত অভিযান পরিচালনার জন্য প্রস্তুতিরও আহ্বান জানান।
গত সপ্তাহে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও আফগানিস্তানে দায়েশ বা আইএস জঙ্গিদের তৎপরতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
এদিকে, পুতিনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়েছিলেন তাজিকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান সাইমুমিন ইয়াতিমভও। তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে তার দেশে মাদক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালানের জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। উল্লেখ করা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের আফিম ও হেরোইন উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আফগানিস্তান এবং এসব মাদক ব্যবসার মুনাফার ভাগ পায় তালেবানও। যদিও সম্প্রতি তালেবান ঘোষণা করেছে তারা মাদক চাষ ও উৎপাদন বিরোধী পদক্ষেপ নেবে।
গত ১৫ আগস্ট কাবুলের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এর পরই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে মধ্যএশিয়ার দেশগুলো। সেখানে সরাসরি স্বার্থ রয়েছে রাশিয়ার। ফলে চিন্তিত রুশ নেতারাও। মধ্যএশিয়ার দেশগুলোতে রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ঘাঁটি রয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হলেও এ দেশগুলো এখনও রাশিয়ার ছায়াতেই রয়ে গেছে।
তালেবান যদিও রাশিয়াকে বারবার আশ্বস্ত করেছে যে এসব দেশে সন্ত্রাসী রপ্তানি করবে না তারা। তবে তাতে আশ্বস্ত হতে পারছে না তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান। তালেবানের কাবুল দখলের পর থেকেই তাজিকিস্তানের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছিল রুশ সেনারা। সূত্র: ফার্সটুডে
এসি