‘কাদা ছোড়াছুড়ি’ নয়, নিস্তার চান শ্যামপুর-কদমতলীর মানুষ
দিপু সিকদার
প্রকাশিত : ১২:৪১ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২১ শনিবার | আপডেট: ১২:৫২ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২১ শনিবার
দীর্ঘসময় জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে রাজধানীর শ্যামপুর-কদমতলী শিল্পাঞ্চল এলাকার মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে কলকারখানার উৎপাদন। এমন পরিস্থিতিতে বড় ধরনের লোকসানের আশংকা করছেন শিল্প মালিকরা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলছেন, পদ্মাসেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পে সমন্বয়হীনতার কারণেই এই জলাবদ্ধতা। আর প্রকল্প পরিচালকের দাবি, সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান চান তারা।
রাজধানীর শ্যামপুর-কদমতলী শিল্পাঞ্চল এলাকার রাস্তাঘাটের বর্তমান অত্যন্ত করুণ। ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫৮নং ওয়ার্ডের অর্ন্তভুক্ত এই এলাকা। এখানে আছে দুই শতাধিক শিল্প-কলকারখানা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত এক মাস ধরে নোংড়া পানিতে ডুবে রয়েছে রাস্তাঘাট। যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, ছবি তুলে আর কি হবে। এই যে দুর্ভোগ মানুষকে তা ভোগ করতেই হবে। রেলওয়ের কারণে ওরা রাস্তা বন্ধ করে ঢালাই করে দেয়। যার কারণে শিল্পনগরী নোংরা পানিতে তলিয়ে যায়। এই পানি খুবই ময়লা, এই পানি পেরিয়ে শ্রমিক-মালিকরা মিল-কারখানায় আসতে পারছে না।
এদিকে জলাবদ্ধতার কারণে তীব্র হয়েছে গ্যাস সংকট। কিছু কিছু কারখানা খোলা রাখা হলেও বন্ধ রয়েছে অনেক কল-কারখানা। এমন পরিস্থিতিতে বড় ধরনের লোকসানের আশংকা করছে মালিক সমিতি। দ্রুত সংকট সমাধানের দাবি তাদের।
শ্যামপুর-কদমতলী শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, রাস্তার যে অবস্থা এখানে প্রতিদিন হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয়। গাড়ি চলতে পারছে না, হেঁটে যাওয়া যায় না তাহলে কারখানা চলবে কিভাবে? ফলে মালিক-শ্রমিকদের অবস্থা খুবই করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এদিকে, এমন জলাবদ্ধতা আনাকাংখিত বলছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘দুঃখিত ও অনাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা, পদ্মা রেলওয়ের প্রকল্পে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে এবং পানি নিষ্কাশনের যে মুখগুলো ছিল তারা একতরফাভাবে সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা বার বার বলছি, প্রকল্প প্রণয়নের পরিকল্পনা পর্যায়ে আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। তা না হওয়ায় ঢাকাবাসী জনদুর্ভোগ পড়ছে।’
অপরদিকে প্রকল্প পরিচালক জানান, সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চান তারা।
পদ্মাসেতু রেল লিংক প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, ‘তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। একটা প্রকল্প বাস্তবায়নে সময়ের প্রয়োজন হয়। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।’
কাদা ছুঁড়াছুড়ি নয়, দ্রুত জলাবদ্ধতা থেকে নিস্তার চান শ্যামপুর-কদমতলীর মানুষ।
ভিডিও-
এএইচ/