রাজধানীতে ৫ কেজি ‘আইস’সহ দুজন গ্রেপ্তার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৪২ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২১ শনিবার | আপডেট: ০৩:৫০ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২১ শনিবার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ কেজি আইস বা ক্রিস্টাল মেথসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হোছেন ওরফে খোকন (৩৩) ও মোহাম্মদ রফিক (৩২)। শুক্রবার রাতে যাত্রাবাড়ী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার ঢাকার কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান হয়।
র্যাবের দাবি, খোকন টেকনাফের ‘আইস সিন্ডিকেটের হোতা’। সে তার কাপড় ও আচারের ব্যবসার আড়ালে মাদকের চালান দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করতো। তার নামে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “তাদের কাছে পাঁচ কেজি আইস, বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া আইসের আনুমানিক বাজার মূল্য ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।”
আল মঈন বলেন, “কক্সবাজারের টেকনাফকেন্দ্রিক কয়েকটি মাদকচক্র বেশ কিছুদিন ধরে পাশ্ববর্তী দেশ (মিয়ানমার) থেকে আইস বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। র্যাব তার উপর নজরদারি চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করল।”
তিনি আরও বলেন, “তারা টেকনাফকেন্দ্রিক মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য। এই চক্রটি কয়েক বছর ধরে অবৈধ মাদক ইয়াবার কারবার করে আসছিল। কয়েক মাস ধরে আইস পাচার করছে। এ সিন্ডিকেটে ২০ থেকে ২৫ জন যুক্ত রয়েছে।”
সাম্প্রতিক সময়ে এই মাদক উদ্ধার বাড়লেও এটিই সবচেয়ে বড় চালান।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা টেকনাফ কেন্দ্রিক মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য। এই চক্রটি বিগত প্রায় কয়েক বছর ধরে অবৈধ মাদক ইয়াবার কারবার করে আসছে। সিন্ডিকেটে ২০-২৫ জন যুক্ত রয়েছে। সিন্ডিকেটের সদস্যরা সাধারণ নৌপথ ব্যবহার করে মাদকের চালান দেশে নিয়ে এসে থাকে। চক্রটি ইয়াবা কারবারের সাথে জড়িত থেকে বিগত কয়েক মাস ধরে আইস পাচার করে নিয়ে আসছিলো। ঢাকার উত্তরা, বনানী, গুলশান, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় তাদের সিন্ডিকেট সদস্য রয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত মাদক হলো আইস বা ক্রিস্টাল মেথ। ক্রিস্টাল মেথ বা আইসে ইয়াবার মূল উপাদান এমফিটামিন এর পরিমান অনেক বেশী থাকে। তাই মানবদেহে ইয়াবার চেয়েও বহুগুন ক্ষতিসাধন করে এই আইস। এটি সেবনের ফলে অনিদ্রা, অতি উত্তেজনা, স্মৃতিভ্রম, মস্তিস্ক বিকৃতি, স্ট্রোক, হৃদরোগ, কিডনি ও লিভার জটিলতা এবং মানসিক অবসাদ ও বিষন্নতার ফলে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। শারিরীক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রে এটির নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এই মাদকের প্রচলনের ফলে তরুণ-তরুণীদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এবং অস্বাভাবিক আচরণ পরিলক্ষিত হয়। এই মাদকে আসক্ত হয়ে মাদকাক্তরা নানা অপরাধে জড়িত হয়ে পড়ছে।
এসএ/