বিদ্বেষমূলক মন্তব্যে গ্রেফতার যুবরাজ সিং, পরে জামিন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩১ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০২১ সোমবার
বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্যের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। অবশ্য গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টা পর আদালত থেকে আগাম জামিনে মুক্তি পান তিনি।
গত বছর রোহিত শর্মার ইনস্টাগ্রামে একটি লাইভ সেশনে এসে যুজবেন্দ্র চাহালকে উদ্দেশ্য করে জাতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছিলেন যুবরাজ। এরপরই তার নামে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারা, ১৫৩বি এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনের (প্রতিরোধ এবং নৃশংসতা) ৩ (১) (ইউ) ধারায় মামলা করা হয়।
এই মামলার তদন্তে সাহায্য করতে হানসির পুলিশ স্টেশনে এসেছিলেন এই ক্রিকেটার। সঙ্গে ছিলেন তার নিরাপত্তারক্ষী এবং উকিল। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তার ফোন নিয়ে যাওয়া হয়, কাগজ-কলমে তাকে গ্রেফতারির উপর জোর দেন থানা পুলিশ। তারপর কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয় যুবরাজকে। পরে আগাম জামিনের কাগজের ভিত্তিতে তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়।
হানসির পুলিশ সুপার বলেছেন, ‘গ্রেফতার করার পর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।’
জানা গেছে, গত বছর ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মার সঙ্গে একটি ইনস্টাগ্রাম লাইভে হাজির হয়েছিলেন সাবেক এই ভারতীয় অলরাউন্ডার। সেখানেই তার একটি মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। অভিযোগ ছিল, অন্যান্য ক্রিকেটারকে নিয়ে মশকরা করতে গিয়ে দলিতদের অসম্মান করে বসেন যুবি।
এমন মন্তব্যের জেরে কড়া সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল তাকে। পরে অবশ্য নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
মামলার আইনজীবী রজত কালসানের দাবি, যুবরাজের মন্তব্যে দেশটির দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। কারণ, প্রচুর মানুষ সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুবরাজ জানিয়েছিলেন, ‘আমি কখনই জাত, বর্ণ কিংবা লিঙ্গের ভেদাভেদে বিশ্বাসী নই। আমি প্রতিটি মানুষকে সমানভাবেই দেখি ও তাদের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করি। নিঃস্বার্থে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই জীবন।’
যুবরাজ আরও বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি যে আমার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমায় ভুল বুঝেছেন। যা অযাচিত ছিল। তবে দায়িত্ববান ভারতীয় হিসেবে আমি বলতে চাই যে যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কারও ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে থাকি, তাহলে আমি ক্ষমা চাইছি।’ সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এএইচ/