ঢাকা, সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৭ ১৪৩১

দুবলার চরের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৫০ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০২১ সোমবার | আপডেট: ১১:৫১ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০২১ সোমবার

রাসলীলা বা রাস যাত্রা সনাতন ধর্মালম্বীদের বার্ষিক উৎসব। রাধাকৃষ্ণের আরাধনাই রাসের মূল উপজীব্য। পটুয়াখালী কুয়াকাটার দুবলার চরে ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা হয় হেমন্তের পূর্ণিমা তিথিতে। এই উৎসবে সমাগম ঘটে লাখো পূণ্যার্থীর। অঞ্চল ভেদে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৩ থেকে ৫ দিনব্যাপী হয় রাসমেলা।

মূলত বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীরা রাস উৎসব পালন করেন। বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় শ্রীকৃষ্ণের প্রকৃতির উৎসবই রাস। অনেকে মনে করেন, ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মার মহামিলনই রাস। রাধাকৃষ্ণের আরাধনা মূল বিষয় হলেও এই উৎসবে গোপিনীদেরও আরাধনা করা হয়। বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন রীতিতে উদযাপন করা হয় রাস উৎসব। 

সুন্দরবনের দুবলার চরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় দুইশ’ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই মেলা।

কার্তিকের শেষে বা অগ্রহায়ণের প্রথম দিকে ভরা পূর্ণিমার তিথিতে রাস পূজা উদযাপিত হয়। রাতভর অর্চনা শেষে পরের দিন ভোরে সাগরে পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় রাস উৎসব।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সমুদ্র স্নানের মাধ্যমে জাগতিক পাপ মোচন আর মনের বাসনা পূর্ণ হয়। কুয়াকাটা ছাড়াও কলাপাড়া ও পটুয়াখালী ভবতারণ সেবা সংঘে পক্ষকালব্যাপী থাকে অনুষ্ঠান মালা।

প্রতি বছরের এই আয়োজনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের অনেক মানুষের আগমন ঘটে। উৎসব ঘিরে মেলার আয়োজন হয়। 

রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং গিরিশ চন্দ্রের পরবর্তী সময়ে বাংলায় রাস উৎসবের প্রচলন ঘটে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের বৃন্দাবন, মথুরা, ওড়িশা, অসম, মনিপুর এবং পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, কুচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় জাঁকজমকভাবে উদযাপিত হয় রাস উৎসব।

ভিডিও-

এএইচ/