ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

তৈরি হল ‘কান্না ঘর’!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:১৩ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:২৫ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার

কখন, কোথায়, কোন পরিবেশে দুম করে হতাশা গ্রাস করবে, আর তা বোঝার আগেই অবসাদের কাছে মনের আত্মসমর্পণ হবে কেউ জানে না! এমন অবস্থায় কান্না পেলে কোথায় যাবেন? অনুভূতির প্রকাশ না করে চেপে যাবেন? নাকি লুকিয়ে আয়নার সামনে অঝোরে কাঁদবেন? সে যাই হোক না কেন, মন খারাপ থেকে মন ভাল করার প্রক্রিয়াটা কিন্তু বড্ড কঠিন। এমন অবস্থায় কেউ যদি পাশে না থাকে, কেউ যদি কথা না বলে! তাই কান্না পেলে একান্তে কেঁদে নিন খানিক সময়। তবে এ জন্য যেতে হবে সদূর স্পেনের ‘কান্না ঘরে’। 

এই যুগের তরুণ-তরুণীদের বেশিরভাগই অল্প বিস্তর অবসাদে ভোগেন। যার ফলে হুট হাট কান্নাও পেয়ে বসে। অনেকে তা লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু এর ফলে যে পরবর্তীতে বড় ধরনের মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, সেটা অনেকেই জানেন না কিংবা মানেন না। 

এ ধরণের পরিস্থিতিতে যে কেউ যাতে প্রাণ খুলে কাঁদতে পারেন, এজন্যই এবারে স্পেনে তৈরি হল ‘ক্রাই রুম’ বা ‘কান্না ঘর’ !

স্পেনের সেন্ট্রাল মাদ্রিদের এই ঘরটিতে আপনি চিৎকার করে কাঁদতে পারবেন, মন খারাপ হলে কিছুক্ষণ মনের মানুষের সঙ্গে কথাও বলতে পারবেন আবার চাইলে মনোবিদের পরামর্শও নিতে পারবেন।

দেশটিতে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খুব জোর দেওয়া হয়। এ কারণেই সরকারের তরফ থেকে ঘরটি তৈরি করা হয়েছে। 

কেমন এই কান্না ঘর?

ঘরের ভিতরটা কিছুটা গোলাপি হলেও লাল রঙের ব্যবহারই বেশি। আর বাইরে ঝোলানো বোর্ডে লেখা রয়েছে, কাঁদতে হলে ভিতরে আসুন! আরেকটি বোর্ডে লেখা, মন খারাপ! এই ঘরে ঢুকে প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন। এই সব কিছুই একেবারে বিনামূল্যে। 

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে অবসাদগ্রস্ত মানুষের আত্মহত্যার হার আশংকাজনক হারে বেড়ে গিয়েছে। তার উপর করোনার দাপটে মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত বহু মানুষ। এসব কথা মাথায় রেখেই এই কান্না ঘরের ব্যবস্থা করেছে স্পেন।

সূত্র:  সংবাদ প্রতিদিন
এমএম//