আলুর দরপতনে চরম বিপাকে ব্যবসায়ীরা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:৫৯ এএম, ২০ অক্টোবর ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০১:২৫ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২১ বুধবার
আলুর দরপতনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকসহ ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। করোনা পরিস্থিতিতে মজুদ করা আলু রয়ে গেছে হিমাগারে। কেনা দামের অর্ধেকও পাচ্ছেন না তারা।
এবছর চাঁপাইনবাবগঞ্জের একমাত্র হিমাগারে এগ্রো মহানন্দা কোল্ড স্টোরেজে প্রায় ৩শ’ কৃষক ও ব্যবসায়ীর ৫ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন আলু মজুদ রাখা হয়েছে। জেলায় ১ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে ২২ হাজার ৬১০ মেট্রিক টন আলু।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ২০ ভাগ আলু বহির্বিশ্বে রপ্তানি করা হয়।
এবছর হিমাগারসহ প্রতি কেজিতে উৎপাদন খরচ পড়ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা। আর বর্তমানে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০ টাকায়। লোকসানে পড়েছেন আলুচাষী ও ব্যবসায়ীরা।
কৃষক জানান, আলু উৎপাদনে খরচ পড়েছিল কেজিতে সাড়ে ১৮ টাকা। এখন বিক্রি করতে গিয়ে ১২ থেকে ১৩ টাকা আলুর দাম পাচ্ছি।
ব্যবসায়ী জানান, ‘আমার প্রায় ২০ লাখ টাকার কেনা আলু রয়েছে। বর্তমান দামে বিক্রি করলে দাম পাব ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা। এখন বিপদে পড়ে গেছি, ছেড়েও দিতে পারছি না, অন্যদিকে স্টোর ভাড়াও দিতে পারছি না।’
দাম না পেয়ে হিমাগার থেকে আলু বের করছেন না কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
এগ্রো মহানন্দা কোল্ড স্টোরেজের সহকারী ব্যবস্থাপক গোলাম জাকারিয়া বলেন, বর্তমানে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১১ টাকায়। এই কারণে ব্যবসায়ী, কৃষক ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আলুর উৎপাদন বৃদ্ধি ও শাকসবজির বাম্পার ফলনে আলুর দাম কম বলছেন কৃষি কর্মকর্তা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, গত বছর এই এলাকায় বন্যা হওয়াতে শাক-সবজি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এ বছর বন্যা না হওয়া প্রেক্ষিতে আলুর উপর অতটা প্রভাব পড়েনি।
আলুর বিভিন্ন ব্যবহার ও বিদেশে রপ্তানিকরণে সরকারি নীতি সহায়তা চায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
ভিডিও-
এএইচ/