ঢাকা, বুধবার   ১৬ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ৩০ ১৪৩১

তুলার হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন উদ্যোক্তারা

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত : ১২:১৪ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২১ শুক্রবার

বিশ্ববাজারে তুলার হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। আগের ক্রয়াদেশে পণ্য সরবরাহে লোকসানের আশঙ্কা তাদের। তবে উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েছে স্থানীয় বস্ত্রকল মালিকরা। তুলার দাম বাড়লেও সূতা ও কাপড়ের মূল্য ধাপে ধাপে সমন্বয় করতে চান তারা।

২০২০-২১ অর্থবছরে পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ের দুই-তৃতীয়াংশই আসে তুলা-নির্ভর পণ্য থেকে। রপ্তানি ও অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মেটাতে এসময় তুলা আমদানি হয় ৭৪ লাখ বেলেরও বেশি।

হঠাৎ বিশ্বজুড়ে চাহিদা বাড়ায় প্রতি পাউন্ড তুলার মূল্য উঠেছে ১০৭ সেন্টসে। যা কিনা গত জুনের মাঝামাঝি ছিল ৮০ সেন্টস। সেই সঙ্গে বেড়েছে জাহাজ ভাড়াও। এমন বাস্তবতায় নতুন চাপে পড়েছে দেশের পোশাক শিল্প।  

বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, ‘আমরা তো অর্ডার আগে নিয়েছি, দাম বাড়ানোর পর কোন অর্ডার আসেনি। ওগুলো যখন আসবে তখন আমরা কনসিডার করবো। আগের অর্ডারে হঠাৎ করে তারা দাম বাড়ালে সমস্ত সেক্টরটা বিপদে পড়ে যাবে।’

তুলার এমন মূল্যবৃদ্ধিতে স্বাভাবিকভাবে সূতা ও কাপড়ের দাম বাড়বে। তাই পোশাক রপ্তানির ক্রয়াদেশ নেয়ার ক্ষেত্রে বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ সূতা ও বস্ত্রকল মালিকদের। এছাড়া সদস্য প্রতিষ্ঠাগুলোকে ধাপে ধাপে সূতা ও কাপড়ের দাম সমন্বয়ের নির্দেশ দিয়েছে বিটিএমএ। 

বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, “সূতার দাম ৩৭ শতাংশ বেড়েছে কিন্তু তুলার দাম বেড়েছে ৫৮ শতাংশ। আমাদের মেম্বার মিলগুলোকে চিঠি দিয়ে বলেছি, যারা ইতিমধ্যে পিআই ইস্যু করেছো, যারা ইতিমধ্যে এলসি পাওনি অথবা এলসি পেয়েছো বা আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ডেলিভারি দিতে সক্ষম তাতে পূর্বের নির্ধারিত মূল্য রাখার জন্য। ডিসেম্বর থেকে মূল্যটা আমরা পুনঃবিবেচনা করবো।”

বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ তুলা আমদানিকারক দেশ। নিজস্ব উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতা কমানোর আহ্বান এই ব্যবসায়ী নেতার। 

মোহাম্মদ আলী খোকন আরও বলেন, তামাকের বিলুপ্ত জমিগুলোতে তুলা উৎপাদন করলে আমাদের দেশে ১ বিলিয়ন বেল উৎপাদন করা সম্ভব। দেশে বর্তমানে দেড় লাখ বেল উৎপাদন হচ্ছে তবে ১০ লাখ বেল করলেই আমাদের জন্য যথেষ্ট সাপোর্ট হবে। ১০ লাখ বেলে তুলার বর্তমান বাজারমূল্য ৫শ’ ২১ মিলিয়ন ডলার।

এদিকে, তুলা উন্নয়ন বোর্ডকে কৃষি থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তর করা হলে উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পেত বলে মনে করেন বিটিএমএ সভাপতি।

ভিডিও

এএইচ/