মঞ্চস্থ হলো ম্যাড থেটারের নাটক ‘অ্যানা ফ্রাঙ্ক`
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৫১ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২১ শনিবার
মঞ্চস্থ হলো ঐতিহাসিক চরিত্র অ্যানা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি অবলম্বনে ম্যাড থেটারের একক নাটক 'অ্যানা ফ্রাঙ্ক'। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাটকটির পরিবেশনা শুরু হয়। নাটকটির স্থিতিকাল ছিলো ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট।
নাটকটিতে ফুটিয়ে তোলা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৩ বছরের কিশোরী অ্যানা ফ্রাঙ্ক কিভাবে তার পরিবারসহ দেশান্তরী হয়ে সিক্রেট অ্যানেক্স নামক একটি গোপন কুঠরিতে ৭৬১ দিন পালিয়ে থাকে, অবশেষে হিটলারের গেস্টাপো বাহিনীর হাতে মৃত্যুবরণ করে।
ম্যাড থেটারের নাট্যকর্মী আর্য মেঘদুত তার দৃষ্টিনন্দন একক অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলেন অ্যানা ফ্রাঙ্কের ডায়েরির পাতায় লেখা সেই যুদ্ধের বারুদমাখা ধূসরতা, মানসিক বেদনার রঙ, ব্যক্তিগত স্বপ্ন ও সম্ভাবনার রঙধনুকে।
ইটিভি অনলাইনকে মেঘদুত বলেন, “অ্যানা ফ্রাঙ্কের চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে আমি খুবই খুশি। তার ডায়েরি পড়ে আমি এইটুকু বুঝতে পেরেছি, জীবনের খারাপ সময়ে নিজেকে কিভাবে শক্ত মনোবল নিয়ে স্থির রাখতে হয়।”
নাটকের একটি দৃশ্য
ম্যাড থেটারের প্রধান পরিচালক আসাদুল ইসলাম আসাদ নাটকটির চিত্রনাট্য লেখেন আর নির্দশনা দেন কাজী আনিসুল হক বরুণ।
নির্দেশক বলেন, “ডায়েরির পাতার ১৩ বছরের কিশোরী অ্যানা ফ্রাঙ্কের চেয়ে ব্যক্তি অ্যানার অনুভূতিকেই এই নাটকের মাধ্যমে আমি দেখানোর চেষ্টা করেছি।”
প্রধান অতিথি হয়ে নাটকটি উপভোগ করেন নেদারল্যান্ডের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এ্যানি ভেন লিউইন। এছাড়াও নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, অভিনেতা আফজাল হোসেন, সারা যাকের সহ আরও অনেক বিশিষ্টজনেরা উপভোগ করেন ম্যাড থেটারের এই প্রযোজনা।
অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের বর্তমান সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে নাটকটিকে বড় ধরণের বার্তা হিসেবে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের ইহুদী নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচার জন্য অ্যানা ও তার পরিবার দেশ ছেড়ে নেদারল্যান্ডে পালিয়ে যান। সেখানে একটি গোপন কুঠরিতে প্রায় দুই বছর লুকিয়ে থাকাকালীন একটি ডায়েরীতে সে সময়ের সকল অভিজ্ঞতার কথা লেখেন তিনি।
যুদ্ধ পরবর্তীকালে এই ডায়েরি সকলের নজরে আসে। ১৯৫২ সালে ডায়েরিটি ডাবলডে প্রকাশনা থেকে ইংরেজী ভাষায় প্রথম সংস্করণ হয় দ্যা- ডায়েরি অফ আ ইয়াং গার্ল শিরোনামে।
এখন পর্যন্ত ডায়েরিটি ৬০টিরও অধিক ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। ডায়েরিটি অবলম্বনে অনেক নাটক ও চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়েছে।
এমএম//