ফের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০২:৪২ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২১ শনিবার
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ফারহানার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ছাড়াই সিন্ডিকেট বৈঠক মুলতবি হওয়ায় ফের উত্যপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। অনশন ও লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিসিক বাসস্ট্যান্ড এলাকার শাহজাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অস্থায়ী একাডেমিক ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকে। এরপর শুরু হয় অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি।
তখন ১৪ ছাত্রের চুল কেটে দেবার ঘটনায় শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে নানা স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, যে পর্যন্ত ওই শিক্ষিকার স্থায়ী বহিষ্কার আদেশ না দেয়া হবে ততোক্ষণ পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এর আগে শুক্রবার বিকেল ৪টায় রবির ঢাকা অফিসে এ বৈঠক শুরু হয়। টানা ৩ ঘন্টা বৈঠক চলার পর কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাত সাড়ে ৭টার দিকে শেষ হয়। এর পরপরই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জরুরি সভা করে আবারও আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয়। তারা রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত অনশন ও লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট শুরুর ঘোষণা দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করে।
উল্লেখ্য, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে রবিব দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়ীত্বপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা অফিসে সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকেন। যথা সময়ে এ বৈঠক শুরু হলেও কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠকটি মুলতবি হয়ে যায়।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে শামীম হোসেন বলেন, শুক্রবারের সিন্ডিকেট বৈঠকে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ীভাবে বরখাস্তর সিদ্ধান্ত হওয়া আশা করেছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে আমাদের পরীক্ষার হলে ফিরে যেতে বলেন। আমরা তাদের এ আদেশ গ্রহণ না করে শিক্ষিকা ফারহানার স্থায়ী বরখাস্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এ বিষয়ে রবিব দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফ এবং রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী বলেন, শুক্রবার সিন্ডিকেট সভায় কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। কিছু মতভেদের কারণে পরবর্তিতে আবার বৈঠক হবে।
এএইচ/