‘লেখক-পাঠক মুখোমুখি’ গল্প নামল চট্টগ্রামে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৯ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২১ শনিবার
‘ছাপা বইয়ের যুগ কি শেষ হয়ে এল?’ সংশয়ভরা এমন প্রশ্ন ছিল এক পাঠকের। আরেক পাঠক জানতে চাইলেন, ‘জনপ্রিয় মানেই সস্তা লেখক- আপনারা কি মনে করেন?। কেউ বা আবার লেখক হওয়ার উপায় জানতে চেয়েও প্রশ্ন করেছিলেন।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এভাবেই জমে উঠেছিল ‘গল্প নামে চট্টগ্রামে’ শীর্ষক এক লেখক-পাঠক আড্ডা। অন্বেষা, শিখা এবং জ্ঞাণকোষ- দেশের শীর্ষ তিন প্রকাশনা সংস্থার যৌথ আয়োজনে উপস্থিত থেকে পাঠকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন দুই কথাসাহিত্যিক কিঙ্কর আহসান এবং আবদুল্লাহ আল ইমরান।
অনুষ্ঠানে পাঠাকের প্রশ্নের সূত্র ধরে কিঙ্কর আহসান বলেন, স্বপ্ন দেখি আমাদের পৃথিবী একদিন বইয়ের হবে। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে শব্দ। লেখকের কলমের চেয়ে শক্তিশালী আর কিছু নেই। সেই শক্তি দিয়ে নবীন প্রজন্মকে বইয়ের কাছে ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য চাই বই নিয়ে নানা আয়োজন।
লেখক ও সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ইমরান বলেন, জঙ্গীবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, মাদকসহ নানা অপরাধমূলক কান্ডে জড়াচ্ছে বর্তমান তরুণরা। তারা আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধসহ গর্বের গল্পগুলো জানে না। কেননা শিল্প-সাহিত্যের চর্চাহীন জরাগ্রস্থ প্রজন্ম হয়ে বেড়ে উঠছে তারা। লক্ষ্যহীন এই প্রজন্মকে আলোকিত করাতে বই পড়ার অভ্যাস গড়তে হবে। তরুণ লেখক নাহিদ আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা ছিলেন কবি ওমর কায়সার ও রাসেল রায়হান।
কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার বলেন, প্লাসিকের বাহারি ফুলের ভীরে বাগানের তরতাজা ফুল চেনা যেমন দায়, তেমনি মৌসুমি লেখকের ভীরে আহকাল সত্যিকারের সাহিত্যপ্রেমী ও লেখক চেনা দায় হয়ে পড়েছে। সেই বাস্তবতায় এ ধরণের লেখক পাঠক-আড্ডা গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি লেখক চেনার ভালো উপায়।
কবি রাসেল রায়হান বলেন, সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হামলাগুলোর পেছনে ধর্মান্ধতা দায়ী। এই অন্ধকার দূর করতে পারে বই পাঠে আহরিত জ্ঞান।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছোটকাগজ সমরেখ সম্পাদক হাসনাত সৌরভ, লেখক মো. সিরাজুল ইসলাম এএফসি, তকিব তৌফিক প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেছে অনলাইন বুকশপ রকমারি ডট কম এবং বুকএক্সপ্রেস। তাদের সৌজন্যে সেরা প্রশ্নকারী পাঠকেরা উপহার হিসেবে পেয়েছেন পঁচিশ হাজার টাকা মূল্যমানের বই।
আরকে//