কুয়াকাটা যেতে আর ফেরি পার হতে হবে না
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২৬ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০২১ রবিবার | আপডেট: ১১:৪২ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০২১ রবিবার
পটুয়াখালীর লেবুখালীতে পায়রা নদীর ওপর নির্মিত পায়রা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার পথে আর ফেরিতে নদী পার হতে হবে না কোনও যানবাহনকে।
রোববার সকালে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সেতুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের দুমকি উপজেলার লেবুখালী এলাকার পায়রা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে এই পায়রা সেতু। সেতুটি চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা যেতে একসময় ১০টি জায়গায় নদী পার হতে হতো ফেরিতে। বরিশাল থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ছিল ছয়টি ফেরি পারাপারের পথ। আর ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে বরিশাল পর্যন্ত ছিল চারটি ফেরি পারাপারের পথ।
সব জায়গায় সেতু হওয়ার পর বাকি ছিল শুধু লেবুখালী ও পদ্মা। এবারে লেবুখালীর সেতুটি উদ্বোধন হল। এদিকে পদ্মা সেতুর কাজ শেষের পর্যায়ে। আগামী জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুও যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার চিন্তা করছে সরকার।
পরিবহন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যেতেও আর কোনও ফেরি পারাপারের প্রয়োজন পড়বে না। এতে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যেতে সময় লাগবে মাত্র ছয় থেকে সাত ঘণ্টা।
লেবুখালীর পর পদ্মা সেতুও চালু হলে কুয়াকাটায় পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে, পায়রা বন্দরের গুরুত্ব বেড়ে যাবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে বলে আশা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজারের পর দেশের বড় সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। শুধু পর্যটন সম্ভাবনা নয়, সেখানে শিল্পায়নের পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। পায়রায় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শেরেবাংলা ত্রিমাত্রিক নৌঘাঁটির কাজ চলছে। কুয়াকাটায় পর্যটন খাতে নতুন নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর শাহ আমানত সেতুর আদলে নান্দনিক নকশায় নির্মাণ করা হয়েছে পায়রা সেতু। চার লেনের এই সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪৭০ মিটার, প্রস্থ ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার।
২০১২ সালে পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় সরকার। ২০১৩ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
শুরুতে সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৪১৩ কোটি টাকা। পরে নকশা পরিবর্তন করে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। তবে সেতুটি নির্মাণে খরচ হয়েছে মোট ১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা।
এসবি/