ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

রহস্যময় ‘হর্নেট বলস’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৩৪ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২১ রবিবার

ইতিহাসে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যার কোনও অর্থ খুঁজে পাওয়া যায় না। সারা জীবন সে সব বিস্ময় হয়েই রয়ে যায়। তেমনই একটি হল ‘হর্নেট বলস’। 

সোনার খনি থেকে এক সময় উদ্ধার হয়েছিল বিশালাকার এই বল দু’টি। খনিতে কেন এই বল দু’টি ছিল, এর কাজ কী ছিল-এ সব প্রশ্নের কোনও উত্তর এখনও জানা যায়নি। সারা বিশ্বের কাছে এই বল দু’টি আজও বিস্ময়।

খনি অঞ্চল হিসাবে জনপ্রিয় আমেরিকার ভার্জিনিয়া। এলাকা জুড়েই একাধিক খনি রয়েছে। ১৯ শতক জুড়ে ভার্জিনিয়ায় একের পর এক সোনার খনির সন্ধান পাওয়া যায়। সেই সময়ই একটি খনি থেকে ওই দু’টি বল উদ্ধার হয়েছিল।

১৯৯৮ সাল থেকে বল দু’টি রাখা রয়েছে ভার্জিনিয়ার মনরো পার্কের গোল্ড মাইনিং ক্যাম্প জাদুঘরে। ভার্জিনিয়ার খনি অঞ্চলের ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে ঐ জাদুঘরে। সেখানেই পার্কের মধ্যে রাখা রয়েছে বলগুলি।

দেখতে বড় আকারের কলসির মতো। ভিতরটি ফাঁকা। আর মুখটি লোহার জাল দিয়ে আটকানো। বলটি তৈরিও হয়েছে লোহার কাঠামোর উপর।

লোহার কাঠামোর উপর সিমেন্টের আস্তরণ দিয়ে বানানো বল দু’টি সাত ফুট উঁচু। এর পরিধি প্রায় ২০ ফুট। এক একটি বলের ওজন ছয় হাজার ৩৫০ কিলোগ্রাম। ফলে শুধু আকারেই নয়, ওজনেও বল দু’টি আক্ষরিক অর্থেই দানবীয়।

খনিতে এই বল দু’টির খোঁজ মেলার পর থেকেই বলের কাজ নিয়ে নানা মত প্রকাশ্যে এসেছে। অনেকের মত, খনি থেকে সোনা আলাদা করার কাজে লাগানো হত এগুলি। 

আবার কেউ কেউ মনে করেন, খনি থেকে উদ্ধার হওয়া পাথর বলের ভিতরে রেখে তার পর সেটিকে খুব জোরে ঘোরানো হত। এতে প্রয়োজনীয় বস্তু পাথর থেকে আলাদা হয়ে পড়তো এবং সহজেই সংগ্রহ করে নেওয়া যেত।

তবে বলগুলি নিয়ে রহস্য এখনও কাটেনি। বলগুলির নাম রাখা হয়েছিল ‘হর্নেট’। এমন নামকরণ নিয়েও ভিন্ন মত রয়েছে। 

অনেকের মতে, দেখতে অনেকটা ভীমরুলের চাকের মতো হওয়াতেই এর নাম রাখা হয়েছে ‘হর্নেট’। ইংরাজিতে ভীমরুলকে ‘হর্নেট’ বলা হয়।

আবার কারও মতে, এর ভিতরে পাথর দিয়ে ঘোরানোর সময় খুব জোরে শব্দ তৈরি হয়। ভালোভাবে শুনলে মনে হবে যেন এক ঝাঁক ভীমরুল উড়ে বেড়াচ্ছে। সে কারণেই এমন নামকরণ করা হয়েছে।

এই বলগুলি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি আজও। মনরো পার্ক জাদুঘরে সেই বিস্ময় জাগিয়েই পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণের কারণ হয়ে রয়ে গিয়েছে ‘হর্নেট বলস’।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

এমএম//এসি