আবরার হত্যায় আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩৩ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২১ সোমবার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে এ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আমিনুল গনি টিটু। এদিন তিন আসামি ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিওন ও মো. মেহেদী হাসান রবিনের পক্ষে যুক্তিউপস্থাপন শুরু করেন। এদিন তাদের পক্ষে যুক্তিউপস্থাপন শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন।
এদিন বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার যুক্তি উপস্থাপন করেন। তার যুক্তিউপস্থাপন শেষে আসামি পক্ষের যুক্তিউপস্থাপন শুরু করেন।
এর আগে রোববার (২৪ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে মামলার চিফ প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি উপস্থাপন করেন। যুক্তি উপস্থাপন শেষে তিনি ২৫ আসামির মৃত্যুদন্ড প্রত্যাশা করেছেন। এদিন বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার যুক্তি উপস্থাপন করেন। এদিন, বাদীপক্ষের আইনজীবীর যুক্তিউপস্থাপন শেষ না হওয়ায় সোমবার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
চিফ প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। এরপর মামলার চিফ প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। এদিন তা শেষ হয়নি। আদালত ২৪ অক্টোবর যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন।
আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।
ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন ও তদন্তে প্রাপ্ত আরও ছয়জন রয়েছে।
গ্রেফতার ২২ জন হচ্ছে- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।
মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহার বহির্ভূত আসামি।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় মোট ৬০জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষগ্রহণ শেষ হয়েছে।- বাসস
এসি