পুরুষের স্তন ক্যান্সার: কিছু ধারণা ও সত্য তথ্য
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:০১ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার
স্তন ক্যান্সার বলতে নারীর কথাই মাথায় আসে। তবে পুরুষরাও আক্রান্ত পারেন এই রোগে। নারীর তুলনায় পুরুষের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক কম হলেও, পুরুষের ক্ষেত্রে এই রোগের ভয়াবহতা অনেক বেশি।
সম্প্রতি সামাজিক ট্যাবু ভেঙে অনেকটাই সামনে এসেছে নারীর স্তন ক্যান্সারের বিষয়টি এবং এর চিকিৎসা।
তবে নারীর তুলনায় পুরুষের এই ক্যান্সার হওয়ার হার এতটাই কম যে এখনও অবহেলাতেই থেকে গেছে পুরুষের স্তন ক্যান্সার রোগ।
এই রোগ নিয়ে পুরুষদের মাঝে অতিরিক্ত অসচেতনতার কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগ ধরা পড়ে শেষ পর্যায়ে গিয়ে।
নারীর মত পুরুষের স্তন ক্যান্সারের সাধারণ উপসর্গ হল স্তনে ব্যথাহীন পিণ্ড, স্তনের আকার পরিবর্তন, কিছু ক্ষেত্রে স্তনে ব্যথা, ত্বকের পরিবর্তন, স্তন বোটা কুঁচকে যাওয়া ইত্যাদি।
পুরুষ এবং নারীর স্তন ক্যান্সারের অনুপাত ১:১২০। এই হার থেকেই ধারণা করা যায়, তুলনামূলক অনেক কম পুরুষই এই রোগে আক্রান্ত হন। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে এর ভয়াবহতা হয় বেশি।
কারণ পুরুষের স্তনে টিস্যু কম থাকায় ক্যান্সার সাধারণত ছোট আকারে থাকে। এবং তা সহজে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। এতে এই ক্যান্সার দ্রুত ত্বক এবং বুকের পেশিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
পুরুষের স্তন ক্যান্সারের একমাত্র কারণ জেনেটিক মিউটেশন
পুরুষের স্তন ক্যান্সার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জেনেটিক মিউটেশনের কারণে হয়ে থাকে। তবে এটিই একমাত্র কারণ বিষয়টি এমন নয়। বেশি বয়স, এস্ট্রোজেন এক্সপোজার কিংবা অতিরিক্ত এক্স ক্রোমোজোম নিয়ে জন্মগ্রহণকারীদের ক্ষেত্রেও এই রোগ হতে পারে।
লিভারের রোগ, স্থুলতা এবং পরিশ্রমহীনতাও পুরুষের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
ম্যামোগ্রামে শনাক্ত হবে পুরুষের স্তন ক্যান্সার
সাধারণত নারীর স্তন ক্যান্সার শনাক্তে ম্যামোগ্রাম করা হয়। তবে পুরুষের স্তনে টিস্যু কম থাকায় এক্ষেত্রে ম্যামোগ্রাম রোগ নির্ণয় করতে খুব একটা কাজে দেয় না।
পুরুষের স্তন ক্যন্সারের চিকিৎসা আলাদা
বিষয়টি মোটেও এমন নয়। পুরুষ এবং নারী উভয়ের স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা একই এবং এর লক্ষণও এক। পুরুষের স্তন ক্যানসারও নারীর মতো এস্ট্রোজেন নামক একটি হরমোনের ওপর নির্ভর করে।
শৃঙ্খল জীবনযাপনে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কাটবে
সুষম খাদ্য গ্রহণ, মদ্যপান না করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা অবশ্যই স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবে। তবে এটি সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ সম্ভব নয়। ঝুঁকি কমানো গেলেও যেকোনও সময় এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ নূন্যতম লক্ষণ দেখা গেলেই যদি এই রোগের চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয় তাহলে এই রোগ নিরাময় সম্ভব।
সূত্র: এনডিটিভি
এসবি/