‘হারাম’ ক্রিকেটে মাতল তালেবান, ‘বিষণ্ণ’ কাবুল!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:২৭ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:৩০ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার
কাবুলের রাস্তায় এখনও খেলা হয় ক্রিকেট (ছবি: রয়টার্স)
সাধারণত সব ধরনের বিনোদনকেই 'হারাম'র চোখে দেখে তালেবান। তবে ক্রিকেট এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বিশাল জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। আর সেই জয়ে মেতেছে দেশটির ক্ষমতাসীন তালেবান।
বিভিন্ন তালেবান নেতা এই বিষয়ে টুইটও করেছেন। আফগান জাতীয় দলের জয় উপভোগ করছে তালেবানরা। তবে সাধারণ আফগানের মনে এই জয় যে দাগ কাটতে পারেনি। তালেবানরা আফগানিস্তানের দখল নেয়ার পর এটাই জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য প্রথম বড় জয়।
আফগানিস্তানের পুরোনো পতাকা উড়িয়ে শারজার মাঠে অনেক আফগানকেই জাতীয় দলের সমর্থনে গলা ফাটাতে দেখা যায় সেই রাতে। তবে আফগানিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ হলেই যে কাবুলের রাস্তায় মানুষের উল্লাস চোখে পড়ত, সোমবার রাতে সেই কাবুল ছিল নিস্তব্ধ। যুদ্ধ বিধ্বস্ত কাবুলে আজ বিশ্বকাপের জয় যেন অর্থহীন।
এদিকে আফগানদের জয়ে তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ টুইট করে বলেন, 'দলকে অভিনন্দন এবং ভবিষ্যতে তাঁদের আরও সাফল্য কামনা করছি।'
তালেবানের কাতার অফিসের এক মুখপাত্রও ক্রিকেটারদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, 'আমরা অন্যান্য ক্ষেত্রে, বিশেষ করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রেও এরকম সাফাল্য অর্জন করব বলে আশা করি।'
হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান- আফগানিস্তানের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানির ছোট ভাই আনাস হাক্কানিও জাতীয় ক্রিকেট দলকে কুর্নিশ জানান। টুইটে লেখেন, 'আফগানিস্তান জিতেছে।' জাতিসংঘে তালেবানের প্রতিনিধি সুহেল শাহিন টুইট করে লেখেন, 'ভালো কাজ করেছে ছেলেরা!'
তবে এই জয়ের পরও কাবুল জুড়ে ছিল কেবলই নীরবতা। এর আগে সেখানে এই ধরনের জয়ের উল্লাসে রাস্তায় নামত কাবুলবাসী। আতশবাজি ফাটানো হত। তবে বন্দুকের নলের সামনে সেই উদযাপন আর চোখে পড়ল না। ওই রাতে কাবুলের আকাশে কয়েকটি মাত্র ছোট আতশবাজি দেখা যায়। তবে রাস্তায় নামেনি লোকজন। নামবেই বা কী করে! যেই পতাকার গৌরবের জন্য নবি-রশিদরা খেললেন, সেই পতাকা তো নিষিদ্ধ করেছে তালেবান...!!
এনএস//