মধুপুরের বিশাল বনভূমির অনেকাংশই প্রভাবশালীদের দখলে
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:১০ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২১ বুধবার
এক সময় মধুপুর গড় ময়মনসিংহ ও জামালপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাজীপুরের ভাওয়ালের গড় পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। দখলদারদের কারণে দিন দিন সংকোচিত হয়ে পড়ে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম এ বনভূমি।
টাঙ্গাইলে ৮টি রেঞ্জের আওতায় এক লাখ ২৩ হাজার ৪৬৯ একর বনভূমি রয়েছে। প্রভাবশালীরা ধীরে ধীরে প্রায় ৫৯ হাজার একর বনভূমি দখল করে নেয়। বনবিভাগ বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার একর বনভূমি উদ্ধার করে। এখনও প্রায় ৩৯ হাজার একর বনভূমি বেদখল রয়েছে। এসব বনভূমিতে আনারস, কলা, পেপেসহ নানা ধরনের ফল ফসল আবাদ করছে তারা।
স্থানীয়রা জানান, কালের পরিবর্তনের কারণে বনের পরিস্থিতি একেবারে বিলীনের মতো।
বনভূমি সংকোচিত হয়ে পড়ায় এরইমধ্যে জীব বৈচিত্র্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, এক সময়ে বিশাল শালগাছ দিনে দিনে চুরি হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলেন, এখানে প্রচুর গাছগাছালি ছিল। আমাদের জন্মের পূর্বে থেকেই বিশাল বিশাল গজারি গাছ ছিল। এখন তো সীমিত হয়ে গেছে। অফিসের আশপাশে বড় বড় গজারি আছে ভেতরে ছোট ছোট কিছু আছে, বড় গাছগুলো সবই শেষ। চোরেরই খুবই ভয়ঙ্কর, তারা অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে।
এদিকে দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারে শিগগিরই যৌথভাবে মাঠে নামছে জেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ।
টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জহিরুল ইসলাম বলেন, “মধুপুর উপজেলা অংশে গড়ের আয়তন ছিল প্রায় ৪৫ হাজার ৫৬৫ একর। এর বিশাল একটা অংশ এখন জবর দখল অবস্থায় আছে। সেই জমি উদ্ধারে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অচীরেই উদ্ধার করতে পারবো বলে আশা করছি। যেহেতু ডিসি মহোদয় থেকে শুরু করে সবাই অত্যন্ত পজিটিভ।”
প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনভূমি সংরক্ষণের কোন বিকল্প নাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভিডিও-
এএইচ/