বিশ্ব স্ট্রোক দিবস: বেশি ঘুমালে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২৫ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০২১ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:৪৯ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০২১ শুক্রবার
সময় পেলেই টুক করে ঘুমিয়ে পড়েন? শান্তিতে ঘুমাতে পারলে কি আপনি সবচেয়ে বেশি খুশি হন? জেনে রাখুন, বেশি ঘুম ডেকে আনতে পারে ঘোর বিপদ। অনেকেই হয়তো জানেন না, কিন্তু হালের গবেষণা বলছে, বেশি ঘুমালে নানা রকম শারীরিক জটিলতার পাশাপাশি স্ট্রোকও হতে পারে।
যে কোনও প্রাপ্তবয়স্কের প্রত্যেক দিন ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে হজমশক্তি, স্মৃতিশক্তি, হৃদ্যন্ত্র, এবং আরও নানা শারীরিক পক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে।
শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য এবং পর দিনের কাজের শক্তি সঞ্চয় করতে সাহায্য করে এই ঘুম।
কিন্তু দিনে ৯ ঘণ্টার বেশি যারা ঘুমান, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তাদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে।
মস্তিষ্কে যখন রক্ত চলাচল কোনও কারণে বন্ধ হয়ে যায়, বা কমে যায়, তখনই স্ট্রোক হয়ে থাকে। অনেক সময়ে তার বাইরে কোনও রকম উপসর্গ টেরও পাওয়া যায় না।
বেশি ঘুমের সঙ্গে স্ট্রোক হওয়ার সরাসরি কী রকম যোগ রয়েছে, তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়নি কোনও গবেষণায়।
তবে দেখা গেছে, যারা বেশি ঘুমান, তাদের শরীরে কোলেস্ট্রেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া বা স্থূলতার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এজন্য পরিমিত ঘুমের পাশাপাশি নিয়ম করে ব্যায়াম ও হাঁটাচলা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রক্তে চর্বির আধিক্য নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান পরিহার এবং অ্যালকোহল আসক্তি দূর করার পরামর্শ দেন তারা।
স্ট্রোক হওয়ার তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ চিকিৎসা নিলে বন্ধ হওয়া রক্তনালী খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই স্ট্রোক হয়েছে বুঝতে পারলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে রোগীকে।
এ জন্য জানতে হবে স্ট্রোকের লক্ষণ গুলো কী কী।
মুখ বেঁকে যাওয়া, হাত দুর্বল অথবা অবশ হয়ে আসা, কথা জড়িয়ে যাওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া। এই লক্ষণ গুলোর কোনও একটি দেখা গেলেই দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে রোগীকে।
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
এসবি/