উপাচার্যের আশ্বাসে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:২৯ এএম, ৩০ অক্টোবর ২০২১ শনিবার
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফি কমানোর দাবিতে টানা তিনদিন আন্দোলনের পর উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুবের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় শিক্ষার্থীরা।
ফি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার জন্য শুক্রবার বিকাল ৪টায় উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব প্রশাসননিক ভবনের সামনে উপস্থিত হন।
উন্মুক্ত আলোচনায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, কিছু দাবি তিনি মেনে নিয়েছেন এবং কয়েকটি দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাথে আলোচনা করবেন।
উপাচার্য আরও বলেন, “ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যে বাজেট দেয় তা অত্যন্ত কম। শিক্ষকদের বেতনের বাইরে প্রায় সম্পূর্ণ খরচ শিক্ষার্থীদের বহন করতে হয়। আমরা ইউজিসির সাথে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবো। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়কে তারা যদি পর্যাপ্ত বাজেট দিতে পারে তাহলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও তারা দিতে বাধ্য। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসির বরাদ্দ বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী এসব ফি কমাতে।”
এসময় উপাচার্যের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আইন অনুষদের ডিন ড. রাজিউর রহমান, হল প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি এবং বাণিজ্য অনুষদের ডিন মো: রোকনুজ্জামান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: শাহজাহান, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ড. সালেহ আহমেদ, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: মোজাহার আলীসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকবৃন্দ।
ভর্তি এবং রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, “শিক্ষার্থীরা আপাতত ভর্তি কিংবা রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন এবং ইউজিসির সাথে আলোচনা শেষে সকল সমস্যার সমাধান হলে শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সময় দিয়ে ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন নোটিশ প্রকাশ করা হবে।"
এ বিষয়ে আন্দোলনরত রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সেলিম রেজা বলেন, উপাচার্য স্যারের কথায় আমরা সন্তুষ্ট এবং একমত পোষণ করছি। এখন আমরা স্যারের কাছ থেকে লিখিত নোটিশ চাই এবং আমরা আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করলাম।
প্রসঙ্গত, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফি কমানোর দাবিতে গত ২৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহের মধ্যে ছিলো প্রতি সেমিস্টারের বেতন ১২শ’ টাকার বদলে ৬শ’ টাকা, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ২শ’ টাকার বদলে ২০ টাকা, ছাত্রকল্যাণ ১৫০ টাকার বদলে ৫০ টাকা, আইডি কার্ড ৪শ’র বদলে ৫০, চিকিৎসা ফি ২শ’র বদলে ৫০, পরিবহন ফি ৬শ’র বদলে ৩শ’, রোভার স্কাউটস ও বিএনসিসি ১শ’ স্থলে ৪০, সিলেবাস ১৫০ টাকার বদলে ৫০ টাকা করতে হবে।
আর কম্পিউটার ও ইন্টারনেট, স্টুডেন্ট গাইডেন্স অ্যান্ড কাউন্সিলিং, বিভাগ উন্নয়ন, কেন্দ্র ফিসহ সকল অমূলক ফি বাতিল করতে হবে। এছাড়া প্রতি ক্রেডিট ফি ৫০, প্রবেশপত্র ফি ৫ টাকাসহ হলের সিট ভাড়া ৭৫ এবং সংস্থাপন ফি ৭৫ টাকা করার দাবি তাদের।
এএইচ/