পাকিস্তান দূতাবাসে নতুন দূত নিয়োগ তালেবানের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২১ শনিবার
নতুন প্রশাসন আফগানিস্তানের বিদেশী প্রতিনিধিদের নেটওয়ার্কের দায়িত্ব নিতে শুরু করেছে। যার প্রতিফলন স্বরূপ পাকিস্তানের দূতাবাসে নতুন দূত নিয়োগ করেছে তালেবান সরকার। তালেবান সরকার পাকিস্তানের রাজধানীতে আফগান দূতাবাস পরিচালনার জন্য একজন দূত প্রেরণ করেছে।
তালেবানের সিনিয়র সূত্র এ কথা জানিয়েছে।
মোহাম্মদ শোকাইবকে দূতাবাসে ফার্স্ট সেক্রেটারি বা চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স নিযুক্ত করা হয়েছিল। যেখানে আগের পশ্চিমা-সমর্থিত সরকার জুলাই মাসে তার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে তার দূত প্রত্যাহার করার পর থেকে সেখানে কোনো রাষ্ট্রদূত নেই।
যেহেতু পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয় না, তাই শোকাইবের আনুষ্ঠানিক ভাবে রাষ্ট্রদূতের পদ থাকবে না তবে দূতাবাসের দায়িত্বে থাকবেন তিনি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পাকিস্তানে লক্ষাধিক আফগান শরণার্থী রয়েছে এবং ভিসার সমস্যাও রয়েছে।
নিয়োগটি মূলত কনস্যুলার কার্যাবলী নিশ্চিত করার বিষয়ে ছিল।
আফগানিস্তানের সঙ্গে দুটি প্রধান সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছাকাছি পাকিস্তানের শহর কোয়েটা এবং পেশোয়ারে কনস্যুলেট পরিচালনার জন্য দুজন আফগান কর্মকর্তাকেও নিয়োগ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সিনিয়র তালেবান নেতা রয়টার্সকে বলেছেন, “আমরা বুঝতে পারছি যে পাকিস্তান এখনও আমাদেরকে একটি বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি তবে আমরা জনসাধারণের সুবিধার্থে এই ব্যবস্থা করেছি।”
কাবুলে তালেবান মুখপাত্রদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্য দুই তালেবান কর্মকর্তা রয়টার্সকে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে একই ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কোন দেশ তালেবানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি, যারা আগস্টে কাবুলে পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল এবং আফগানিস্তানের দূতাবাসগুলো এখনও অনেকাংশে পূর্ববর্তী সরকার কর্তৃক নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের দ্বারা পরিচালিত হয়, যাদের মধ্যে অনেকেই তালেবানের স্পষ্টবাদী সমালোচক।
সূত্র : রয়র্টাস
আরএমএ/ এসএ/