২০১০ সালের ক্রিকেট খেলছে ভারত!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২১ রবিবার
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডু-অর-ডাই ম্যাচে ভারত। সেই ম্যাচের কয়েকটা ওভার না যেতেই রীতিমতো চাপে পড়ে যায় দলটি। কোহলিদের এমন অবস্থা দেখে সাবেক ইংরেজ অধিনায়ক মাইকেল ভনের দাবি, যে মানসিকতা দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে ২০১০ সালের ক্রিকেট খেলছেন বিরাটরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পথেই এগিয়ে যাচ্ছে ভারত।
রোববার ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণ পরে টুইটারে ভন লেখেন, ‘এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পথেই এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। এরকম প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত যে মানসিকতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি ধরা পড়ছে, তা পুরোটাই ভুল, অত্যন্ত ভুল।’
এর পরেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায় ভন বলেন, ‘খেলা এগিয়ে গিয়েছে কিন্তু ২০১০ সালের ক্রিকেট খেলছে ভারত।’
দুবাইয়ে কার্যত নক-আউট ম্যাচে টসে হেরে যান বিরাট কোহলি। ভারতকে ব্যাটিং করতে পাঠান কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কৌশল পালটে কে এল রাহুলের সঙ্গে ওপেনিংয়ে রোহিত শর্মার পরিবর্তে ইশান কিষানকে পাঠানো হয়। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। সেই কৌশল কাজে আসেনি।
কারণ ২.৫ ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে যান ইশান। তাঁকে ট্রেন্ট বোল্ট প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেন। আট বলে মাত্র চার রান করেন ইশান। ১১ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর কিছুটা মেরে খেলতে শুরু করেন রাহুল এবং রোহিত। কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পরপর আউট হয়ে যান রাহুল, রোহিত এবং বিরাটও।
কিছুক্ষণ পরই ড্রেসিংরুমে ফিরে যান ঋষভ পাণ্টও। তবে রবীন্দ্র জাদেজা এবং হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১১০ রান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রানই আসে সাতে ব্যাট করতে নামা রবিন্দ্র জাদেজার ব্যাট থেকে। তাঁর ১৯ বলের ক্যামিওতেই মূলত একশ পার করা ওই স্কোর পায় ভারত। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে মারকুটে হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাট থেকে।
ভারতকে এভাবে বেঁধে রাখার কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন মাত্র ২০ রানে ৩টি উইকেট নেয়া ট্রেন্ট বোল্ট ও ১৭ রানে ২টি উইকেট নেয়া ইশ সোধি। এছাড়া সাউদি-স্যান্টনার-মিলনেরাও রাখেন কার্যকরী অবদান।
এনএস//