কোয়ারেন্টাইন মুক্ত ভ্রমণে স্বাগত জানিয়েছে ব্যাংকক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৪৬ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২১ সোমবার
মহামারী-বিধ্বস্ত পর্যটন অর্থনীতিকে পুনরুত্থিত করতে টিকাপ্রাপ্ত পর্যটকদের কোয়ারেন্টাইন মুক্ত ভ্রমণে স্বাগত জানিয়েছে ব্যাংকক। এরই মধ্যে থাইল্যান্ড সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনসহ ৬০টিরও বেশি দেশের পর্যটকদের সবুজ সংকেত দিয়েছে।
সোমবার ব্যাংককে শত শত টিকাপ্রাপ্ত বিদেশী পর্যটকদের পৌঁছানোর কথা রয়েছে। গত ১৮ মাসের মধ্যে থাইল্যান্ডে দর্শনার্থীদের প্রথম সফর এটি। যাদের করোনভাইরাসের জন্য কোয়ারেন্টাইনের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে না।
বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশও তালিকায় রয়েছে। কারণ কর্মকর্তারা শীতের ব্লুজ এড়িয়ে উত্তর গোলার্ধের ভ্রমণকারীদের পুঁজি করার আশা করছেন।
থাইল্যান্ড, এশিয়া-প্যাসিফিকের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। গত ১৮ মাস ধরে মহামারীতে কঠোর প্রবেশের নিয়ম প্রয়োগ করেছে তারা। ভ্রমণ শিল্পে খুব সীমাবদ্ধ এবং কঠোর হওয়ার কারণে সমালোচিতও হয়েছে দেশটি।
মহামারীর আগে, থাইল্যান্ডের জিডিপির প্রায় ১২% ছিল পর্যটন এবং এর রাজধানী শহর ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিদর্শন করা শহর। সঙ্কটের কারণে থাইল্যান্ডের প্রায় ৩ মিলিয়ন পর্যটন-নির্ভর চাকরি ক্ষতি হয়েছে এবং বছরে আনুমানিক ৫০ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব ব্যয় হয়েছে।
থাই কর্মকর্তারা জুলাই মাসে ফুকেটের রিসর্ট দ্বীপটি পুনরায় খোলার সাথে জল পরীক্ষা করেছিলেন। সম্পূর্ণ-টিকাপ্রাপ্ত পর্যটকদের তৎকালীন বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন সর্তে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল যদি তারা দ্বীপে থাকে।
যেখানে পর্যটন সেই জায়গার স্থানীয় অর্থনীতির ৯০% অংশ।
তবে মহামারীতে “ফুকেট স্যান্ডবক্স” কর্মকর্তাদের প্রত্যাশার চেয়ে কম জনপ্রিয় ছিল, জুলাই মাসে প্রাক-মহামারী স্তরের মাত্র ১% দ্রমনকারীর এ দ্বীপে আগমন।
নতুন জাতীয় কর্মসূচির অধীনে, আগতদের অবশ্যই তাদের প্রথম রাত একটি পূর্ব-অনুমোদিত হোটেলে কাটাতে হবে এবং তারা দেশের বাকি অংশে অবাধে ভ্রমণ করতে সক্ষম হওয়ার আগে একটি কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে।
এয়ারলাইন্সগুলো শীতলতা থেকে জেটগুলোকে ফিরিয়ে এনে দর্শকদের প্রত্যাশিত আগমনের জন্য দেশকে প্রস্তুত করতে নতুন ভাবে উড়ে গেছে। তবুও প্রত্যাবর্তন তুলনামূলকভাবে ধীর হবে। অর্থ মন্ত্রক এই বছর মাত্র ১৮০,০০০ বিদেশী আগমনের পূর্বাভাস দিয়েছে এবং পরের বছর ৭ মিলিয়ন, যা ২০১৯ সালে প্রায় ৪০ মিলিয়নের ছিলো।
এপ্রিল থেকে থাইল্যান্ডের ১.৯ মিলিয়ন সংক্রমণ রেকর্ড হয়েছে এবং ১৯,০০০ এরও বেশি করোনভাইরাস-সম্পর্কিত মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। ৭২ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ৪২% টিকা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : রয়র্টাস
আরএমএ/