স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানে এগিয়ে আসার আহবান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৪৪ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২১ সোমবার
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে সবাইকে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানিয়েছেন।
আগামীকাল ২ নভেম্বর ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ উপলক্ষে সোমবার (১ নভেম্বর) এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির উদ্যোগে দেশব্যাপী ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২১’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সেবাই আমাদের আদর্শ’- এই মহান ব্রত নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী বিগত ৪৪ বছর যাবৎ আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। জরুরি অস্ত্রোপচার, দুর্ঘটনা, অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে বাংলাদেশে যে রক্তের চাহিদা রয়েছে তার সিংহভাগ পূরণ করে থাকে সন্ধানী।
করোনা মহামারির মতো সংকটময় সময়ে এই প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রমের পরিধি প্রসারিত করেছে। এর পাশাপাশি সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি মানুষকে মরণোত্তর চক্ষুদানে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে। স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে সন্ধানী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, রক্তের অভাব পূরণে মানবদেহের রক্ত এবং কর্নিয়াজনিত অন্ধত্ব দূরীকরণে কর্নিয়াই প্রধান অবলম্বন। মানবদেহের লোহিত রক্ত কণিকা ৪ মাস পর এমনিতেই নষ্ট হয়ে যায়, আবার নতুন রক্ত জন্মায়। মৃত্যুর পর চোখসহ সকল অঙ্গই নষ্ট হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ মানুষ নিয়মিত রক্তদান করলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না, বরং তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বাংলাদেশে অনেক মানুষ কর্নিয়াজনিত সমস্যার কারণে অন্ধত্ব বরণ করছে। তাই রক্তদান ও কর্নিয়াজনিত অন্ধত্ব দূরীকরণে মরণোত্তর চক্ষুদানে দেশের তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচার কার্যক্রম আরো জোরদার করা আবশ্যক।
আবদুল হামিদ ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
আরকে//