দেশে টিকার কোনো অভাব নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:২৯ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০৬:২৯ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২১ সোমবার
দেশে এখনও টিকার পর্যাপ্ত মজুদ আছে, টিকার কোনো অভাব নেই এবং দেশের সব শ্রেণির মানুষকে সরকার টিকার আওতায় নিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিশু শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের টিকার কোনো অভাব হবে না। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে যার যার প্রয়োজন সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা করা হবে। আমরা সেই অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের হাতে ফাইজারের অনেক টিকা রয়েছে। আমরা ৯৬ লাখ টিকা পেয়েছি এবং হাতে আছে প্রায় ৮২ লাখ। আমাদের প্রতিশ্রুতির আরও ৯২ লাখ আছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১২-১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে প্রয়োজন তিন কোটি টিকা। ইতোমধ্যে দুই কোটি টিকা নিশ্চিত করা আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বেশি পরিমাণে ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেবে আমাদের।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের টিকাদান কার্যক্রম প্রায় সমাপ্ত হয়ে আসছে। ১২-১৭ বছর বয়সি স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার চাহিদা ছিল অভিভাবকদের। শিক্ষার্থীদেরও আগ্রহ ছিল টিকা নেওয়ার। যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিজেদের দেশে শিশুদের যে টিকা দিচ্ছে, সেই টিকা তারা বাংলাদেশকে দিয়েছে। আমরা সেটি শিক্ষার্থীদের দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
একই অনুষ্ঠানে এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেন, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনার প্রথম টিকা পেয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী তাহসান হোসেন ও মাহজাবিন তমা। তারা দু'জনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে রাজধানীর আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘সব শিশু টিকা নেবে, স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে যাবে’ প্রতিপাদ্যে আজ শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে রাজধানীর আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুধু আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে টিকা দেওয়া হবে হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথ পয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, চিটাগাং গ্রামার স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কাকলী স্কুল, মিরপুর কমার্স কলেজ, স্কলাস্টিকা (মিরপুর) ও সাউথ ব্রিজ স্কুলে।
প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে ২২টি জেলায় স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই এসব জেলায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
আরকে//