রাষ্ট্রভাষা বাংলা’র প্রথম প্রস্তাবকারী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্মদিন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:০৬ এএম, ২ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:০৮ এএম, ২ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার
গণপরিষদ অধিবেশনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। পরবর্তীতে আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাংলা হয়েছিল রাষ্ট্রভাষা। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী হত্যা করেছিল ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে। এই জ্যেতির্ময় ব্যক্তিত্বের মঙ্গলবার ১৩৬তম জন্মদিন।
মোদের গরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা কিংবা ওরা আমার মুখের কথা কাইর্যা নিতে চায়- এসব পঙতি শুধু ভাষা আন্দোলনই নয়, যুগে যুগে প্রেরণা হয়ে আছে বহুমাত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে। ধীরেন্দ্রনাথ দত্তই বাঙালির প্রাণের ভাষা রক্ষায় প্রথম সোচ্চার হয়েছিলেন ১৯৪৮ সালে।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম ১৮৮৬ সালে বাংলাদেশের কুমিল্লায়। কলকাতায় সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়ার সময় যোগ দেন অসহযোগ আন্দোলনে। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড় আন্দোলনসহ ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপের জন্য তিনি বেশ ক’বার গ্রেফতার হন।
১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাজধানী করাচিতে গণপরিষদ অধিবেশনে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার প্রথম প্রস্তাব দেন তিনি। বাংলায় কার্যবিবরণী লেখার দাবি করেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে প্রতিবাদী ভূমিকার জন্য পাক সরকারের রোষানলে পড়েন ধীরেন্দ্রনাথ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বিমানবন্দরে তাকে বিপুল সংবর্ধনা দেয়। মূলত সেখান থেকেই সূত্রপাত মহান ভাষা আন্দোলনের।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনে রক্ত ঝরে। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ধীরেন্দ্রনাথ গণপরিষদের অধিবেশন বয়কট করেন।
১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ গভীর রাতে ৮৫ বছর বয়সী দেশপ্রেমিক রাজনীতিক ধীরেন্দ্রনাথকে হত্যা করে পাকবাহিনী আর এদেশীয় রাজাকার আলবদর।
নানা কারণেই ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত যেমন রাজনীতির মহান পুরুষ তেমনি বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তাঁর অবদান দূর-গগনের তারার মতো সমুজ্জ্বল।
এএইচ/