ঢাকা, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৯ ১৪৩১

কপ-২৬: ২০৩০ সালের মধ্যে শূন্যে নামানো হবে বন উজাড়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৯ এএম, ২ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৩৫ এএম, ২ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার বিষয়ে একমত হয়েছেন বিশ্বের শতাধিক দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা। চলমান জলবায়ু বিষয়ক কপ-২৬ সম্মেলনে প্রথম বৃহৎ কোনো চুক্তি হিসেবে বন উজাড় বন্ধের বিষয়ে একমত হন তারা।

দক্ষিণ আমেরিকার বিশাল এলাকাজুড়ে আমাজন বনাঞ্চল বিস্তৃত। এই বনভূমির বিশাল অংশ ব্রাজিলের মধ্যে পড়েছে এবং সেখানে বনের গাছ কেটে উজাড় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে এই বন উজাড় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিষয়ে চুক্তি হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার। যাতে স্বাক্ষর করবে ব্রাজিলও। 

বন উজাড় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে এবং চুক্তি মোতাবেক বনাঞ্চলের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখতে প্রায় ১ হাজার ৯২০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল গঠন করা হবে। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে এই তহবিল গঠন করা হবে।
দাবানল নিয়ন্ত্রণ, ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি সংস্কার ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর যথাযথ নিরাপত্তায় ব্যয় করার জন্য এই তহবিলের অর্থ উন্নয়নশীল দেশগুলোও পাবে।

বন উজাড় শূন্যের কোঠায় আনার বিষয়ে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তারা বলছেন যে, এ বিষয়ে ২০১৪ সালের একটি চুক্তি ব্যর্থ হয়েছে, শঙ্কা সেখানেই। 

এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং থাকছেন। এছাড়া ব্রাজিল, কানাডা, রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াও এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে। পৃথিবীর মোট বনভূমির প্রায় ৮৫ শতাংশই এই চার দেশে রয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এখন স্পষ্ট। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে নিয়মিত ভাবে দাবদাহ, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাও।

এছাড়া বনের গাছ কেটে ফেললে সেটিও জলবায়ু পরিবর্তনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। কারণ গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং বিপুল পরিমাণে বন উজাড় হলে বায়ুতে ক্ষতিকর এই গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা গেলে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নি:সরণ শুন্যে নামানোর লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হবে। 

সূত্র: বিবিসি

এসবি /