ছাদ বাগানে কী গাছ লাগাবেন?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৫০ পিএম, ২ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:০৪ পিএম, ২ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার
নাগরিক জীবনের ট্রেন্ড এখন ছাদ বাগান। এই শখের মধ্যদিয়ে যদি রোগ মুক্তি উপায়ও মেলে তাহলে কেমন হয়? এ জন্যই আপনার ছাদ বাগান কিংবা বারান্দার বাগানের কিছু অংশ ছেড়ে দিন ওষধি গাছের জন্য।
এমন অনেক ওষধি গাছই আছে যা অল্প মাটি-পানিতে একটু পরিচর্যা পেলেই বেড়ে উঠতে পারে। চলুন জেনে নিউ এমন কিছু ওষধি গাছের নাম, যা সহজেই জায়গা করে নিতে পারে আপনার গৃহকোণে।
পুদিনা
নিত্য নৈমিত্তিক নানা খাবার তৈরি করতে পুদিনার ব্যবহার হয়ে থাকে। নানারকম কাটা-ছেঁড়ায় ব্যবহার হওয়ার পাশাপাশি হারিয়ে যাওয়া ক্ষুধাকেও ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে পুদিনা পাতা। পুদিনা হজমে সাহায্য করে। আর এটি এমন একটি লতানো গাছ যা খুব দ্রুত এবং সহজেই বাড়ে।
হলুদ
হলুদ প্রাচীনকাল থেকেই তার ওষধি গুণের জন্য পরিচিত। হলুদে ক্যান্সার-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি ডিএনএ মিউটেশন প্রতিরোধ করতে পারে। আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তদের জন্য এটি খুবই উপকারী। একটি গবেষণায় জানা যায়, হলুদ অনেক ধরনের চর্মরোগ এবং জয়েন্ট আর্থ্রাইটিস নিরাময়ে খুবই উপকারী। তাই বাড়ির ছাদের টবে লাগিয়ে ফেলতে পারেন হলুদ।
তুলসি
প্রাচীন কাল থেকে তুলসির ভেষজ গুণ নিয়ে আলোচনা করে এসেছেন মুনি ঋষিরা। ঠান্ডা লাগলে তুলসি পাতা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। গলার সব রকম সমস্যায় এর পাতা ব্যবহৃত হয়। মাথা ব্যথা ও শরীর ব্যথা কমাতে তুলসী খুবই উপকারী। এর বিশেষ উপাদান মাংশপেশীর খিঁচুনি রোধ করতে সহায়তা করে। আর তুলসি এমন একটি গাছ যা একটু যত্নেই বেড়ে ওঠে। আর একবার লাগালে সেখান থেকেই বীজ ছড়িয়ে আরও চারা বের হয়।
এ্যালোভেরা
এ্যালোভেরা শরীরের জন্যই শুধু নয়, ত্বক এবং চুলের জন্যও উপকারী। এছাড়া এলোভেরা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য রোগের উপশম করে। এ জন্য এ্যালোভেরা জুস করে খেতে হবে। আর এই গাছটিও খুব অল্প জায়গায় অল্প পরিচর্যাতেই বেড়ে ওঠে।
ফিভারফিউ
জ্বর সারাতে ফিভারফিউয়ের জুড়ি মেলা ভার। প্রচন্ড মাথা ব্যথায়ও ফিভারফিউ খুব কাজ করে। চিবিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি চায়ের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যায় ফিভারফিউ।
ল্যাভেন্ডার
সাইন্সডাইরেক্ট-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় জানা যায়, ল্যাভেন্ডার দাঁতের সমস্যায় ভুগছেন এমন লোকদের জন্য খুব কার্যকরী। যদিও বাংলাদেশে খুব কম বাড়িতেই এই ল্যাভেন্ডার চাষ করা হয়। এটি চাষের জন্য সুনিষ্কাশিত মাটিতে পূর্ণ রোদে চারা রোপণ করতে হয়। এই গাছ স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ পছন্দ করে না তাই মাটি শুকনো আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে মাধেমধ্যেই।
ক্যামোমিল
ডেইজি ফুলের মত দেখতে এই উদ্ভিদটি চাষ করলে কেবল এর ওষধি উপকারই নয়, সেইসঙ্গে পাবেন ফুলের মনমাতানো সৌন্দর্য্যও। হজমে সমস্যা, ত্বকে সংক্রমণ ক্যামোলিন সহজেই সমাধান করে দিতে পারে।
সূত্র: এই সময়
এমএম/এসবি