পবিপ্রবিতে নির্বাচন বন্ধ করায় শিক্ষকদের ক্ষোভ
পবিপ্রবি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:১০ এএম, ৬ নভেম্বর ২০২১ শনিবার
নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে স্থগিত করা হয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। গত ১৮ অক্টোবর তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ হলেও মনোনয়নপত্র বিক্রি করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে নির্বাচন নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পরে একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ভাইস-চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে এক নোটিশের মাধ্যমে নির্বাচনী তফসিলের সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।
এদিকে, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন স্থগিত করায় শিক্ষকদের মাঝে অসন্তোষ ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় শিক্ষকদের একটি পক্ষ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য পবিপ্রবি প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।
সেখানে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনা শিক্ষকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শিক্ষক সমিতি গঠনের সাংবিধানিক অধিকারের উপর অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপ। শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষার্থে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহৎ স্বার্থে অনতিবিলম্বে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বেশ কয়েকজন শিক্ষক জানান, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে হঠাৎ নির্বাচন স্থগিত করে দেয়া ও নির্বাচন নিয়ে নানা নাটকীয়তার কারণে শিক্ষকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শিক্ষক সমিতি নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. এস এম তাওহিদুল ইসলাম বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন করা হলে তিনি বিব্রত বোধ করে কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন, সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থা তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন এবং গ্রুপিংয়ের বিষয় নিয়ে কথা বলেন। পরে বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৭ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে যাতে ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট না হয় সেজন্য নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, আগামী ৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।
এএইচ/