কদর বেড়েছে সাইকেলের
রিয়াজ সুমন
প্রকাশিত : ১২:২১ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০২১ রবিবার
যানজটের ভোগান্তি থেকে রেহাই আর যাতায়াত খরচ কমাতে কদর বেড়েছে সাইকেলের। গ্রাম থেকে শহর, সর্বত্র বাড়ছে সাইকেলের ব্যবহার। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীসহ বড় বড় শহরগুলোতে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে এই বাহন আরও জনপ্রিয়তা পাবে।
বাইসাইকেলের প্যাডেলে পা চেপে মেঠোপথে ছুটে চলেছে একদল কিশোরী। গন্তব্য স্কুল। স্বপ্ন জয়ের এ যাত্রায় গতি বাড়িয়েছে সাইকেল। সময় বাঁচিয়ে কমিয়েছে পথের ভোগান্তি।
ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকার স্কুল শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে এই বাহন।
স্কুল শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের স্কুল বাড়িতে থেকে ৫ কিলো দূরে। আমরা সাইকেলে যাতায়াত করে পড়ালেখা করতে আসি। সাইকেল থাকার কারণে স্কুলে ঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারছি।
পরিবেশবান্ধব এই বাহন দেশের প্রতিটি দুর্গম পথের যাত্রাকেই সহজ করছে। দিন দিন আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে বাইসাইকেল।
স্বাস্থ্যগত বিশেষ উপকারিতা বিবেচনায় চীন, জাপান, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলোতেও সাইকেলের বহুল ব্যবহার হচ্ছে। দেশেও বাহনটির ব্যবহার বাড়ছে। করোনাকালে যা ছিলো উল্লেখ্যযোগ্য।
সাইকেল ব্যবহারকারিরা জানান, প্রতিদিন আসা-যাওয়ায় প্রায় দেড়শ’ টাকার মতো লাগে। যার জন্য আমি সাইকেল চালাচ্ছি। যদি রাস্তায় জ্যাপ পড়ে তাহলে আপনি সময় মতো অফিসে যেতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে সাইকেলটাই বেস্ট। গাড়িতে বসে যে ঝাকিটা লাগে সাইকেল চালালে ওই ঝাকি থেকেও বাঁচা যায়।
তবে রাজধানীর অধিকাংশ রাজপথে সাইকেলের জন্য নেই আলাদা লেন। তাই যে কোনো সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
সাইকেল ব্যবহারকারি বলেন, এখানে আমাদের কোন নিরাপত্তা নেই, গাড়ি চলাচল করে অনেক। তাই লেন থাকাটা খুবই জরুরি। লেন শুধু থাকলেই হবে না এটা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
কয়েকটি সড়কে সাইকেল ব্যবহারকারিদের জন্য আলাদা লেন করে দিয়েছে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। সেই লেন এখন চটপটি, ফুসকা, ডাব বিক্রেতাদের দখলে। আছে অবৈধ কার পার্কিং।
চটপটি, ফুসকা, ডাব বিক্রেতারা জানান, অনুমতি নাই তাও করি। ফ্রি প্লেস, ওই হিসেবে দোকান করছি। তবে প্রতিদিন পঞ্চাশ টাকা করা দিতে হয়।
সমস্যার উত্তরণে দখলদার মুক্ত করার পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।
ডিএনসিসি সিইও মো. সেলিম রেজা বলেন, বার বার উচ্ছেদ করার পরও অনেকে ফের এসে বসে পড়েন। আমরা এটা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে এই সাইকেল লেনসমূহ চালু থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা নগরীর যানজট কমানোর অন্যকম একটি উপায় হতে পারে বাইসাইকেল বক্ষহার। তবে- সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে।
পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সামসুল হক বলেন, “বাইসাইকেল যদি আমরা প্রমোড করতে পারি, ডেডিকেডেড লেন করতে পারি এবং ক্রসিংয়ের জন্য যদি সুযোগ দিতে পারি তাহলে এমনিতেই মানুষজন এখানে চলে আসবেন। তাহলে যানজট দূর করার ক্ষেত্রে তার বিরাট একটা ভূমিকা আছে শহর এলাকায়।”
পরিবেশবান্ধব জীবনধারার জন্য সাইকেলকে এগিয়ে নিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ তাদের।
ভিডিও-
এএইচ/