যশোরে খেজুর গুড় তৈরির প্রস্তুতি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪১ এএম, ৮ নভেম্বর ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০৮:৪৩ এএম, ৮ নভেম্বর ২০২১ সোমবার
শীতের আমেজ আসতে না আসতেই খেজুর গুড়ের রাজধানী যশোরের বিভিন্ন এলাকায় পুরোদমে চলছে রস আহরণের প্রস্তুতি। ইতোমধ্যেই খেজুর গাছ কাটা শুরু করেছেন গাছিরা। যশোরের রস ও গুড়ের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে। পরিকল্পিত উদ্যোগের মাধ্যদিয়ে খেজুরের রস ও গুড়কে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে জানান গুড় উৎপাদনকারী চাষীরা।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, বিশুদ্ধ খেজুর রস-গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যে জেলার ৩০জন গাছিকে ঈশ্বরদী থেকে বিশেষজ্ঞ এনে তিনদিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে। শনিবার থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হওয়া প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে গাছিদের বিশুদ্ধ গুড় উৎপাদনে যে যে উপকরণ লাগবে তা বিনামূল্যে দেয়া হবে।
সারাদেশের মধ্যে যশোরে এ ধরনের বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গাছিদের মধ্যে উপকরণ সরবরাহের উদ্যোগ এ প্রথম। এই জেলার খেজুর গুড়ের চাহিদা দেশে ও বিদেশে বেশি থাকায় এখানে বিশুদ্ধ গুড়ের বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান উপ-পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ জেলায় মোট খেজুর গাছের সংখ্যা ১৬লাখ ৪১হাজার ১৫৫টি। এর মধ্যে রস উৎপাদিত হয় এমন খেজুর গাছের সংখ্যা ৩লাখ ৪৯হাজার ৯৫৫টি। এসব খেজুর গাছ থেকে বছরে ৫কোটি ২৪লাখ ৯৩হাজার ২৫০ লিটার রস উৎপাদিত হয়। বছরে গুড় উৎপাদিত হয় ৫২লাখ ৪৯হাজার ৩২৫ কেজি। যার মূল্য একশ কোটি টাকার উপরে।বর্তমানে জেলার ৮ উপজেলায় গাছির সংখ্যা ১৩হাজার ১শ’৭৩জন।
জেলার গুড় উৎপাদনকারীরা জানান, যশোরের খেজুর গুড়ের চাহিদা দেশ-বিদেশে সর্বত্র রয়েছে। দুই দশক আগেও এই অঞ্চলে প্রচুর খেজুরের গাছ ছিলো। বর্তমানে আগের তুলনায় গাছ অনেকটা কমে গেছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
সরকারি উদ্যোগে নতুন করে খেজুরের চারা গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেয়ায় গাছিদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এক ভাড় খেজুর রস একশ’ থেকে দেড়শ টাকায় এবং এককেজি বিশুদ্ধ গুড় ২৫০ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় এই জেলায়।
সূত্র: বাসস
এসবি/