আয়ের সুফল কম পাওয়ায় বাড়ছে বৈষম্য
তৌহিদুর রহমান
প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০২১ সোমবার
মাথাপিছু আয় আড়াই হাজার ডলার ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের। সাধারণ মানুষ বাড়তি আয়ের সুফল কম পাওয়ায় বাড়ছে বৈষম্য। এ অবস্থায় আয় বাড়াতে বহুমুখি পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ অর্থনীতিবিদেরা।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের দিকে এগুচ্ছে দেশ। বাস্তবায়নের অপেক্ষায় সরকারের মহাপরিকল্পনা। তাইতো করোনার কঠিন সময়েও বাংলাদেশের উৎপাদন এবং রপ্তানি বেড়েছে। প্রবাসী আয়ও উচ্চমুখী।
২০২০-২১ অর্থবছরে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিলো ২ হাজার ২শ’ ২৭ ডলার। সর্বশেষ তা বেড়েছে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫শ’ ৫৪ ডলারে। ডলারের বর্তমান বাজার অনুযায়ী টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ৪শ’ ৩০।
ভারত-পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া অনন্য এবং গৌরবের- অভিমত সিপিডির।
সিপিডি গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এটা একটা ইতিবাচক দিক যে, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর বিশেষ করে ভারতের তুলনায় বেশি থাকা।
তবে জিডিপির এই এগিয়ে যাওয়ার মধ্যেও ধনী-গরীবের বৈষম্য বাড়ছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপিআরসি ও বিআইজিডির সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, দেশে নতুন করে গরীবের সংখ্যা বেড়েছে। যেখানে শহর ও নগরের প্রান্তিক মানুষের আয় কমে যাওয়ার চিত্রও প্রকাশ পেয়েছে।
ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমরা যে ভিত্তির উপরে এই মাথাপিছু আয় বেশি বলছি সেটি বেশ দুর্বল। যে হারে উচ্চআয়ের মানুষের আয় বাড়ছে সে হারে নিম্নআয়ের মানুষের আয় বাড়ছে না। বরং উভয় গ্রুপের মধ্যে আয়ের পার্থক্য বাড়ছে।
প্রতিযোগিতার বাজারে তরুণ সম্প্রদায়কে দক্ষ করে গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ। পাশাপাশি নতুন বিনিয়োগ এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে আয় বাড়ানোয় গুরুত্ব দেন তিনি।
সিপিডি গবেষণা পরিচালক বলেন, আমাদের ধাপে ধাপে চেষ্টা করার দরকার। প্রথমত উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ ২০৩১ সালের মধ্যে হওয়া, যখন সাড়ে ৪ হাজার ডলারে আমাদের মাথাপিছু আয় নিয়ে যেতে হবে- এটির প্রয়োজন পড়বে। সেজন্য আমাদের বেসরকারি খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে।
ভিডিও-
এএইচ/