ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশকে আরও কঠোর হতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

প্রকাশিত : ০৬:৫২ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০৭:১০ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০২১ সোমবার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে আরও কঠোর হতে হবে। কারণ, কক্সবাজারে কোন রক্তের হোলি দেখতে চাই না।

সোমবার (৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টারদিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এক সময় কক্সবাজার সমু্দ্র সৈকতে রাত কাটানো যেত না। পর্যটকরা ভয়ে থাকত। সব সময় চুরি, ছিনতাইয়ের আখড়া ছিল। কিন্তু, আজ বর্তমান সরকারের আমলে সেই সমুদ্র সৈকতে রাতদিন নি:সন্দেহ বসে থাকা যায়। সবকিছু সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তিনি পর্যটনকে ঢেলে সাজাতে গঠন করা হয় বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। আজ পর্যটন তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে। তাই, কোন ধরণের অপরাধে না জড়াগে রোহিঙ্গাদের প্রতি অনুরোধ করেন।

কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রূপান্তরের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, পর্যটকদের যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) মোস্তফা কামাল উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম, ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোর্শেদুর আনোয়ার খান, বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ কানিজ ফাতেমা মোস্তাক।

এর আগে বিকাল ৩ টারদিকে কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে ৩ দিনব্যাপী ট্যুরিস্ট পুলিশের ৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্বোধন করা হয়। পরে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা বিচ থেকে লাবণী বিচ পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র‌্যালির মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি অংশ নেয়।

ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোর্শেদুর আনোয়ার খান। বক্তব্যে তিনি বলেন, কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম নিরবচ্ছিন্ন বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। আমরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে ব্র্যান্ডিং করতে চাই। কক্সবাজারকে বিশ্বে তুলে ধরার মাধ্যমে পর্যটন আকর্ষণ বাড়াতে আমরা আইজিপি মহোদয়ের সুযোগ্য নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় নিরলস কাজ করছি। ইতোমধ্যে পর্যটকদের বিশ্বমানের সেবা ও নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের আস্থা অর্জনে টুরিস্ট পুলিশ সক্ষম হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে ৩ দিনব্যাপী ৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামী ১১ নভেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে পর্দা নামবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।

উল্লেখ্য, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের বিশ্বমানের পর্যটন সেবা ও নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে দেশের পর্যটনশিল্প বিকাশের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটন নিরাপত্তা ও সেবায় আজ আট বছর পূর্তি উপলক্ষে ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে টুরিস্ট পুলিশ।

আরকে//