ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চট্টগ্রাম আদালত ভবনের নাম নিয়ে নতুন বিতর্ক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৮ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২১ বুধবার

চট্টগ্রাম আদালত ভবনের নাম নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। জেলা প্রশাসন বলছে, বিট্রিশ আমলের ‘পরীর পাহাড়’ সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার। আর আইনজীবীরা বলছেন, পাহাড়ে আদালত ভবন নির্মাণ করেছেন বিট্রিশরাই। এটির নাম ‘কোর্ট হিল’। তবে নাগরিক সমাজ চায় স্থাপনাটি সংরক্ষণ করা হোক। 

বিট্রিশ আমলে নির্মিত এক অনন্য স্থাপত্যকীর্তি চট্টগ্রাম আদালত ভবন। ইউরোপ ও মুঘল ঐতিহ্যের সম্মিলনে কোলকাতার রাইটার্স বিল্ডিংয়ের আদলে ভবনটি নির্মাণ করেন বিট্রিশরা। দৃষ্টিনন্দন এই কোর্ট হিলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে কয়েকশ’ স্থাপনা। এতে চোখের আড়াল হচ্ছে পরীর পাহাড় বা কোর্ট হিলের অপূর্ব সৌন্দর্য।

এদিকে কোর্ট হিলে গড়ে ওঠা আদালত ভবন এবং বিভিন্ন স্থাপনা নিয়ে বির্তকে জড়িয়েছে জেলা প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতি। আইনজীবীদের দাবি, আইন মেনেই এসব স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। 

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়া উদ্দিন বলেন, এগুলো ইনোভেশন হওয়ার আগেই আমরা গণপূর্তকে দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে যখন ইনোভেশন হয়ে গেল তখন আমাদের দখলে দিয়েছে।

অতিরিক্ত স্থাপনা নির্মাণের কারণে গোটা পাহাড়টিই এখন ঝুঁকির মধ্যে। এমনটা বলছেন জেলা প্রশাসক। তবে ঐতিহাসিক এই লাল দালানটি সংরক্ষণে কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।   

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমান বলেন, আশা করছি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর অতি দ্রুত এটিকে হেরিটেজ বিল্ডিং ঘোষণাসহ এই বিল্ডিংয়ের সংস্কার এবং সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবে কোর্ট হিল বা পরীর পাহাড়ে বিট্রিশদের তৈরি ভবনটি সংরক্ষণের দাবি নাগরিক সমাজের। 

চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি আলিউর রহমান বলেন, এখানে যারা সিনিয়র উকিল আছেন বা মধ্যবয়স্ক উকিল আছেন উনারা সবাই জানেন এক সময় এটা পরীর পাহাড় ছিল। আমরা ছোটবেলায় পাহাড়ের এদিক থেকে ওদিকে দৌড়ে নামতাম।

গবেষক ও ইতিহাসবিদ জামাল উদ্দিন বলেন, এটাকে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি।

প্রায় ১২ একরের পাহাড়। যাতে রয়েছে জেলা ও মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, আইনজীবী সমিতির ভবনসহ বহু স্থাপনা। 

এরমধ্যে ১৩৫টিকে অবৈধ এবং ঝঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করেছে সিডিএ এবং ফায়ার সার্ভিস।

ভিডিও-

এএইচ/