‘সিটিং বাসের নামে চিটিংবাজি বন্ধ করুন’
আব্দুল কাইয়ুম, ঢাকা কলেজ
প্রকাশিত : ০৫:২৯ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২১ বুধবার | আপডেট: ০৫:৩২ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২১ বুধবার
সিটিং বাসের নামে চিটিংবাজি বন্ধ, অযৌক্তিকভাবে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার ও গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিতের দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে যাত্রী অধিকার আন্দোলন। বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড়ে ওই কর্মসূচি থেকে এসব কথা বলেন বক্তারা।
জনগণের টাকায় বেতন পেয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান পরিবহন মালিকদের দালালি করছে উল্লেখ করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন যাত্রী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল। তিনি বলেন, সরকারের অনুমোদনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি সিটিং সার্ভিস নাম দিয়ে ওয়েবিল সিস্টেমের মাধ্যমে বাসগুলো কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে। অথচ জনগণের বেতনে চলেও পরিবহন মালিকদের পক্ষ নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।
সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মাঈনুদ্দিন আরিফের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল। এসময় যুগ্ন আহ্বায়ক অন্তু মুজাহিদ, এস এম সজিব, ঢাকা কলেজ শাখার নেতা নাজমুস শাহাদাত সাকিবসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, গণপরিবহনগুলো সরকারের নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে নানান অজুহাতে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। সিটিং সার্ভিস নাম দিয়ে এসব পরিবহন দাঁড়া করেও অসংখ্য যাত্রী নিচ্ছে। ওয়েবিল দেখিয়ে কিলোমিটারের নির্ধারিত ভাড়ার ধার ধারছে না তারা। অথচ শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়া দিতে চাইলে সিটিং সার্ভিস-এর অযুহাত দিচ্ছে।
বক্তারা বলেন, নগর পরিবহনের ভাড়া গত নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময়ও বেড়েছে। সেই সময় অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হবে না বলা হলেও ঠিকই ঠাসাঠাসি করে যাত্রী নিচ্ছে। কিন্তু দেখেও না দেখার ভান করছে বিআরটিএ। সুতরাং সিটিং সার্ভিসের নামে চিটিংবাজী বন্ধ করতে হবে। সব বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে হবে বলেও দাবি জানান তারা।
এসময় পরিবহন নৈরাজ্য বন্ধে সংগঠনটির পক্ষে ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল। দাবিগুলো হলো-
-
নগরী থেকে সিটিং বাসের নামে চিটিংবাজি বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে,
-
ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাড়ানো পরিবহন ভাড়া পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে,
-
ফাঁকফোকর না রেখে পরিবহন ভিত্তিক সুনির্দিষ্ট ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে,
-
তেলের দাম বৃদ্ধির সুযোগে ভাড়া বাড়ানো গ্যাসের গাড়িগুলো চিহ্নিত করে রুট পারমিট বাতিল করতে হবে,
-
নগর ও দূরপাল্লার পরিবহনে বাড়তি ভাড়া নিয়ন্ত্রণে নজরদারি করতে হবে,
-
চুক্তিতে গাড়ি চালানো এবং ওয়ে বিলে ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে এবং
-
সব নগর পরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে হবে।
পরে মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ মিছিল করে যাত্রী অধিকার আন্দোলনের নেতা কর্মীরা।
এনএস//