ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

জীবনের কতটা সময় কাটে শৌচাগারে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৬ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২১ শনিবার | আপডেট: ০১:৪৮ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২১ শনিবার

সুস্থ থাকার জন্য স্বাভাবিকভাবে নিয়মিত প্রস্রাব-পায়খানা হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু একজন মানুষের কতক্ষণের মধ্যে মলত্যাগ করা উচিত? এমন প্রশ্নও অনেকেরই মনে আসে। অনেকেই বাথরুমে গিয়ে আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটান। কেউ কেউ পত্রিকা ও বই পড়েন। কেউবা বাথরুমে ভিডিও গেমস খেলেন। গড়ে একজন মানুষ জীবনে আসলে কতটা সময় বাথরুমে কাটান?

আমেরিকার চিকিৎসা বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম মেডিকেল নিউজ টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শৌচকর্ম সারতে একজন সুস্থ মানুষের সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। এরচেয়ে বেশি সময় লাগলে ভেবে দেখা দরকার সমস্যাটা কোথায়? 

তবে এ নিয়ে প্রাথমিকভাবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। 

কারণ, প্রতিবেদনে ডা. স্কনোল-সাসম্যান বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনার এ বিষয়ে চিন্তা না করলেও চলবে। আপনার কোলন জানে যে কখন এটি খালি হয়েছে।

‘কিন্তু আপনার মলত্যাগ করতে খুব দীর্ঘ সময় লাগলে অথবা চাপ প্রয়োগ করতে হলে অথবা কোনো অস্বাভাবিক পজিশনে বসতে হলে অথবা অ্যানাসে আঙুল ঢুকাতে হলে একজন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কিছু লোকের মলত্যাগ করতে খুব কষ্ট হয়। এর কারণ হলো, তাদের শারীরিক গঠনসংক্রান্ত কিছু না কিছু অস্বাভাবিকতা রয়েছে, যা রেক্টাম বা মলদ্বারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’ 

মলত্যাগের আদর্শ পজিশন সম্পর্কে ডা. স্কনোল-সাসম্যান বলেন, টয়লেটে সঠিকভাবে না বসাও মলত্যাগে বেশি সময় লাগার কারণ হতে পারে। 

বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, মলত্যাগের জন্য আদর্শ পজিশন হলো ৩৫ ডিগ্রি কোণে বসা অথবা স্কোয়াটিং পজিশন। লো কমোডে যেভাবে বসা হয় তা স্কোয়াটিং পজিশনের অন্তর্ভুক্ত। স্কোয়াটিং পজিশনে শরীরের ওজন পায়ের ওপর পড়ে, যেখানে হাঁটু ও নিতম্ব বাঁকানো থাকে। স্কোয়াটিং মলদ্বারের অবস্থান এমনভাবে পরিবর্তন করে যে মলত্যাগের জন্য বাড়তি কোনো চাপ প্রয়োগ করতে হয় না। 

তবে হাই কমোডে কোনোকিছুর সহায়তা ছাড়া বসলে (তখন ৯০ ডিগ্রি কোণ তৈরি হয়) কিছু সমস্যার উদ্ভব হতে পারে। তাই এসব সমস্যা এড়াতে লো কমোডের ব্যবহার তুলনামূলক ভালো।

একেক জনের শৌচকর্মে যাওয়ার অভ্যাস একেক রকমের হয়। কিন্তু একজন মানুষ জীবনে কতটা সময় বাথরুমে কাটান? দেখা গেছে, শারীরিক অবস্থা, হজম ক্ষমতা, পানি পানের পরিমাণসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর এটি নির্ভর করে। যদি একজন ব্যক্তি দিনে একবার ১২ মিনিট ধরে বাথরুমে থাকেন, তাহলে বছরে তিনি ৪৩৮০ মিনিট অর্থাৎ ৭৩ ঘণ্টা বাথরুমে থাকেন। যদি গড়ে মানুষ ৭৯ বছর বাঁচেন। তবে বছরে ৭৩ ঘণ্টা ধরে মোট ৫৭৬৭ ঘণ্টা বাথরুমে থাকেন। অর্থাৎ, জীবনে ২৪০ দিন বাথরুমে থাকেন একজন মানুষ।  
সূত্র : প্রিভেনশন, মেডিকেল নিউজ টুডে
এমএম/ এসএ/