দ্রুতগতির যুগে পিছিয়ে বাংলাদেশের রেল
রিয়াজ সুমন
প্রকাশিত : ০১:০৪ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০১:০৫ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২১ সোমবার
দ্রুতগতির ট্রেনের যুগে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশের রেল। তাও আবার লোকসানী প্রতিষ্ঠান। মন্ত্রী বললেন, ২০৩০ সালের পর লাভে আসবে রাষ্ট্রায়ত্ব এ প্রতিষ্ঠান।
জেমস ওয়াটের বাষ্পীয় ইঞ্জিন থেকে বুলেট ট্রেন। এগিয়েছে সুবিধা, বেঁচেছে সময়। স্বাচ্ছন্দ্যে গন্তব্যে ফেরায় বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা বেড়েছে দ্রুতগতির ট্রেনের।
এর উল্টো চিত্র বাংলাদেশে। গেল এক দশকে অবকাঠামো উন্নয়নে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। লাভ তো দূরে থাক, লোকসানের মাত্রাও উর্ধ্বমুখি।
রেলওয়ের তথ্য বলছে, গত ৯ বছরে রেলের আয় ৮ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা। পরিচালন ব্যয় হয়েছে ১৭ হাজার ৩১৮ কোটি। যেখানে লোকসান ৯ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। অথচ গত ১০ বছরে রেলে সরকারের বিনিয়োগ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।
এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেলের আয় ১ হাজার ৫৯০ কোটি ১০ লাখ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের আয় ১ হাজার ২০০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ আয় কমেছে ৩৮৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
ধারাবাহিক লোকসান কমাতে সরকারের ৩৯টি প্রকল্প চলমান। এর মধ্য দিয়ে লাভের সম্ভাবনা দেখছেন রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, “রেললাইন আমাদের সিঙ্গেল, কাজেই ডাবল লাইন যতক্ষণ না হচ্ছে গোটা দেশব্যাপী ততোক্ষণ পর্যন্ত সিডিউল বিপর্যয়ের যে অভিযোগ, পরিবহনের ক্ষেত্রে সক্ষমতার যে ঘাটতি এগুলো দূর হবে না।”
প্র্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হবে ২০২৪ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, যে প্রকল্প ও পরিকল্পনাগুলো হাতে আছে এগুলো বাস্তবায়ন হলে রেল অবশ্যই লাভের দিকে চলে যাবে। এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ সাল লাগবে।
একইসঙ্গে রেলের উন্নয়নে গুচ্ছ প্রকল্পের কথাও জানালেন মন্ত্রী।
ভিডিও-
এএইচ/