বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি গতিশীল করতে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের বৈঠক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:২২ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২১ বুধবার
বেনাপোল বন্দরের ওপারে পেট্রাপোলের কালিতলা পার্কিং এ বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা আট হাজার ট্রাকের সমস্যা নিয়ে ও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে আরও গতিশীল করতে দু’দেশের কাস্টমস, বন্দর, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভারতীয় সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে মঙ্গলবার বিকেলে বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ড এলাকায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় দেশের ১৩ জন করে প্রতিনিধি অংশগ্রহন করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার-১ আব্দুর রশিদ মিয়া ও ডেপুটি কমিশনার অনুপম চাকমা, বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল, সহকারি পরিচালক সঞ্জয় কুমার বাড়ই, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা, সহ সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, ইন্দো-বাংলা চেম্বার অফ কমার্স সাব কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান, সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান প্রমুখ।
ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পেট্রাপোল কাস্টমসের সহকারি কমিশনার গ্রিধর সরঙ্গী, বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ, কোলকাতা সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজু গোস্বামী, পেট্রাপোল স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী ও পেট্রাপোল বন্দরের কর্মকর্তারা।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, স্থলবন্দর দিয়ে কিভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম আরও গতিশীল করা যায়, আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করতে দু’দেশের বন্দরে বিরাজমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা দ্রুত বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পেট্রাপোল বন্দরের কালীতলা পার্কিংয়ের সমস্যা, দু’দেশের বিজিবি-বিএসএফের পণ্যবাহী ট্রাক তল্লাশিতে দীর্ঘ সময় পরিহার করে বিকল্প বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতের কালিতলা পার্কিং ও পেট্রাপোল সিডব্লিউতে এক মাস একটা পণ্যবাহী আমদানি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকলে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা করে ডেমারেজ দিতে হয় আমদানিকারককে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, কালিতলা পার্কিং এ যে ট্রাকগুলো বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে ভারতীয় বন্দর ও পৌরসভা আন্তরিক হলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। বেনাপোল স্থল বন্দরে প্রতি দিন সাতশ’ ট্রাক ধারণের সক্ষমতা রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, করোনা পরবর্তী সময়ে উভয় দেশের বাণিজ্যে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে যে সব সমস্যা চিহিৃত করা হয়েছে সেগুলো নিরসনে ফলপ্রশু আলোচনা হয়েছে। রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে দু‘দেশের যেকোন সমস্যা নিয়ে ফের আলোচনা হতে পারে।
কেআই//