ঢাকায় কার্যক্রমের ৭০ বছর উদযাপন করলো ব্রিটিশ কাউন্সিল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৫ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২১ বুধবার | আপডেট: ১১:১০ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২১ শনিবার
এ বছর বাংলাদেশ এর স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছে। এবছরই ব্রিটিশ কাউন্সিলও ঢাকায় এর কার্যক্রমের ৭০ বছর পূর্তি করেছে। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সাংস্কৃতিক সম্পর্কের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যের এই পারস্পারিক সম্পর্কের ইতিহাস উদযাপনে এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ক জোরদারে ঢাকায় এসেছেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের গ্লোবাল চেয়ারম্যান স্টিভি স্প্রিং সিবিই।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভি স্প্রিং সিবিই বলেন, ‘এ বছর বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছে, তেমনি ব্রিটিশ কাউন্সিলও ঢাকায় এর ৭০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকায় প্রথম কার্যালয় চালু করে ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ইংরেজি শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জনগণের মধ্যে সংযোগ গড়ে তুলতে আমাদের কাজ ধারাবাহিক যেভাবে অবদান রাখছে তা সত্যিই অসাধারণ!’
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ বছর উদযাপনে ব্রিটিশ কাউন্সিল অংশীদারিত্বমূলক নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং আর্কাইভ লন্ডন ১৯৭১ এর সাথে পার্টনারশিপে আয়োজিত: ‘ইউকে ১৯৭১: পিপল'স সলিডারিটি উইথ বাংলাদেশ'স লিবারেশন’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। যেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে যুক্তরাজ্যে মানুষের আন্দোলনের ৪০টি বিরল ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে।
নটিংহাম-বার্মিংহাম থেকে লন্ডনে বাঙালি অভিবাসী কমিউনিটি সোচ্চার কণ্ঠে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছে ও সংহতি প্রকাশ করেছে, যা আর্কাইভাল নথি হিসেবে এ আলোকচিত্রের মাধ্যমে উঠে এসেছে। এ এক্সিবিশনে প্রদর্শিত ছবিগুলো আর্কাইভ লন্ডন ১৯৭১ এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থেকে সংগৃহীত হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ২০ নভেম্বর এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যগণ ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো। ১৯৭১ সালে যুক্তরাজ্য আমাদের যে সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদান করেছে তা নথিভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও আর্কাইভ লন্ডন ১৯৭১ , যা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। যুক্তরাজ্যের সেই সহযোগিতা ও সমর্থন এখনও অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে, যুক্তরাজ্যের রয়েছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি, যা যুক্তরাজ্যের বিদেশি বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম, তরুণ এবং দ্রুত বর্ধনশীল কমিউনিটির একটি।’
এ প্রদর্শনী নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভি স্প্রিং সিবিই আরও বলেন, ‘ইউকে ১৯৭১: পিপল'স সলিডারিটি উইথ বাংলাদেশ'স লিবারেশন’ প্রদর্শনীটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য ব্রিটিশ জনগণের সমর্থনের স্মারক। গত ৫০ বছরে, আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও যোগাযোগ আরও দৃঢ় ও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। এই সাংস্কৃতিক বন্ধন যুক্তরাজ্যের বৃহৎ এবং সক্রিয় বাংলাদেশি প্রবাসী কমিউনিটির মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হয়েছে, যাদের অনেকেই অর্ধ শতাব্দী আগে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যুক্তরাজ্য জুড়ে নানা কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।’ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আরকে//