মামলায় হেরে গেলেন নুসরাত জিতলেন নিখিল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২১ বুধবার
অনেক তর্ক বিতর্ক আর টানাপোড়েনের পর অবশেষে নুসরত জাহানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন হল নিখিল জৈনের। নুসরত আলাদা হয়ে যাওয়ার বেশ কিছুদিন পর ম্যারেজ অ্যানালমেন্টের মাধ্যমে সম্পর্কে ইতি টানতে চেয়ে কোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন নিখিল জৈন।
অবশেষে জয় হল নিখিলের। বুধবার তাদের বিয়ে খারিজ করে দিল আলিপুর সিভিল কোর্ট। এ সময় নিখিল বলেন, ‘আজ আমার জন্মদিন আর জন্মদিনে এটাই সেরা উপহার’।
তুরস্কে ধূমধাম করে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান ও ব্যবসায়ী লিখিল জৈন। এরপর দেশে ফিরে একসঙ্গে কিছু মাস থাকার পরই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন দুজনে। বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই একটি বিবৃতিতে নুসরত জানিয়েছিলেন যে ভারতে তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন হয়নি, তুরস্কের বিয়ে এখানে গ্রাহ্য নয়, অতএব এই বিয়ে এখানে বৈধ নয় বলেই দাবি করেন নুসরাত।
তাই নিখিলের সঙ্গে ডিভোর্সের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। নুসরতের এই বিবৃতির পরই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নুসরাতের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার আবেদন করেছিলেন নিখিল জৈন। বেশ কয়েকমাস ধরে নুসরাতের বিরুদ্ধে এই মামলা চলার পর অবশেষে নিখিলের পক্ষে রায় দিল আদালত। খারিজ হল নিখিল নুসরাতের বিয়ে।
নিখিল গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় শোনার পর ভালো লাগছে। ও অনেকদিন মিডিয়াতে আমার নামে অনেক নেগেটিভ কথা বলেছে। এর ফলে অনেক জটিলতা তৈরি হয়েছে। আমার খুবই খারাপ লাগতো। কিন্তু এখন অনেকটাই ভালো লাগছে। আমি আমার জীবনে ওকে আর চাই না। একসময় আমি আমার গোটা জীবনটাই ওকে সমর্পণ করেছিলাম। নুসরাতের জন্য আমি কী কী করেছি তা আমার বন্ধু ও পরিবারের লোকজনেরা জানে।
তার মতে, ওর আমাকে সরি বলা উচিত ছিল কিন্তু তার বদলে ও মিডিয়াতে আমার সম্পর্কে যা যা বলেছে তাতে আমি সত্যিই আহত হয়েছি। আমার ইমেজ খারাপ করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু পারেনি। আদালতে একটু সময় লাগল কিন্তু অবশেষে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ আমার জন্মদিন, এ দিনে এটাই সেরা উপহার। ওর জীবনে কী হচ্ছে এটা নিয়ে আমি ইন্টারেস্টেড নই। আমার বন্ধু ও পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ। ভগবানের ইচ্ছায় আমি এই যুদ্ধ জয় করেছি। আমি নুসরতের সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক রাখতে চাই না।
এসি