ঢাকা, বুধবার   ০৯ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৪ ১৪৩১

কৃষকদের অভিনন্দন মমতার, মোদীকে খোঁচা দিচ্ছেন অনেকেই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৬ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার

কৃষকদের প্রায় এক বছরের আন্দোলনের পর প্রত্যাহার করা হয়েছে ২০২০ সালে পাশ হওয়া বিতর্কিত তিন কৃষি আইন। শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণে কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিয়ে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

দেশের কৃষকদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, “এই জয় তাঁদেরই। অনড় মনোভাব দেখানোর পরও কেন্দ্রের শাসকের এই পিছু হঠায় আন্দোলনের জয়ই দেখছেন বিরোধীরা।” গণতন্ত্রের জয়ের কথা বলে রাজ্যের শাসকদলের নেতারা খোঁচা দিতে ছাড়েনি কেন্দ্রের শাসকদলকে।

শুক্রবার সকালে করা টুইটে মমতা লিখেছেন, “বিজেপি কৃষকদের প্রতি নৃশংস। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত কৃষক নিরন্তর লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেককে আমার হার্দিক অভিনন্দন। এটা আপনাদের জয়। এই লড়াইয়ে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা।”

এদিকে মোদী আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করতেই বিজেপি-কে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বর্ষীয়ান এই সাংসদের মতে, এই আইন প্রত্যাহার আসলে দেশের গণতন্ত্রের জয়। তিনি বলেছেন, ‘‘দিল্লি সীমানায় গত বছর থেকে আন্দেলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। বিজেপি সেই আন্দোলন ভাঙার অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারে নি। এটাই গণতান্ত্রিক শক্তি।’’ 

এর পরই বিজেপি-র উদ্দেশে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘‘সামনে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনে ভরাডুবির ভয়েই বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেন মোদী।’’ সাংসদের অধিবেশনে বিক্ষোভ এড়াতেই আগেভাগে এই ঘোষণা করা হল বলে মনে করেন তিনি।

একই সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলের অপর সাংসদ সুখেন্দশেখর রায়ের গলাতেও। তিনিও মনে করেন, নির্বাচনের চাপেই বিজেপি-র এই পিছু হঠা। সুখেন্দুশেখর বলেছেন, ‘‘আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের কথা ভেবেই এই সিন্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি হারতে চলেছে তা বুঝতে পেরেই এই সিদ্ধান্ত। দেরিতে হলেও বোধহয়।’’ 

মোদীর ঘোষণার পরই কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়েই একাধিক টুইট করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। প্রথম টুইটেই তিনি খোঁচা দিয়েছেন তিনি লিখেছেন, ‘অহংকারের হার। অহঙ্কারের হার, অতিরিক্ত গর্ব থেকে ভূপতিত।’
সূত্র : আনন্দবাজার
এসএ/